মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যের রাজধানী সিত্তেতে পৃথক স্থানে তিনটি বোমা বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। এতে এক পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন।

আজ শনিবার ভোরে এ ঘটনা ঘটে। এ বোমা হামলার পেছনে কারা জড়িত তা খতিয়ে দেখছে কর্তৃপক্ষ।

পুলিশ জানায়, স্থানীয় প্রশাসনের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা তিন মং সুয়ের বাড়ির পিছনে আজ ভোর ৪টায় প্রথম বোমাটি বিস্ফোরিত হয়। অপর দুটি বোমার একটি হাইকোর্টের কাছে এবং অন্যটি ভূমি রেকর্ড অফিসের কাছে বিস্ফোরিত হয়।

পুলিশের মুখপাত্র কর্নেল মিও থু সুই  বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে জানান, ‘সন্দেহভাজন আছেন, কিন্তু তাদের নিয়ে কথা বলার সময় এখনো হয়নি। পুলিশ বোমার ধরন বিশ্লেষণ করে সন্দেহভাজনদের সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়ার চেষ্টা করছে।’

এ ছাড়া তিনটি অবিস্ফোরিত হাতবোমা উদ্ধার করা হয় বলে জানান পুলিশের এই কর্মকর্তা।

এখনো পর্যন্ত এ বোমা হামলায় দায় কেউ স্বীকার করেনি।

তিনদিন আগে উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় লাসিও শহরে একটি বোমা হামলায় দুই ব্যাংক কর্মকর্তা নিহত ও কমপক্ষে ২৪ জন আহত হয়েছেন। ওই এলাকায় কয়েকটি উপজাতি বিদ্রোহী গোষ্ঠী মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর সঙ্গে লড়াই করে যাচ্ছে।

গত বছর রাখাইন রাজ্যে সামরিক অভিযান শুরু হলে প্রায় ছয় লাখ ৮৮ হাজার রোহিঙ্গা বাংলাদেশে প্রবেশ করে। তাদের অনেকেই মিয়ানমারের সেনাবাহিনী ও পুলিশের সংঘটিত হত্যা, ধর্ষণ ও অগ্নিসংযোগের ঘটনার বর্ণনা দেন।

রোহিঙ্গা জাতি নিধনের জন্য এ অভিযান চালানো হয় বলে জানায় জাতিসংঘ ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। কিন্তু নোবেল বিজয়ী অং সান সুচি এ অঞ্চলে জাতিসংঘের তদন্তকারী কর্মকর্তা ও নিরপেক্ষ পর্যবেক্ষকদের প্রবেশে বিরোধিতা করেন।

মিয়ানমার সরকার বলছেন, তারা মুসলিম ‘সন্ত্রাসীদের’ বিরুদ্ধে আইনগতভাবে অভিযান চালাচ্ছে।

তবে জানুয়ারির মাঝামাঝি থেকে রাখাইন রাজ্যে উত্তেজনা বেড়ে যায়। ওই সময় রাজ্যের উত্তর প্রদেশের মুরুক ইউ এলাকায় স্থানীয়দের একটি সমাবেশে পুলিশ গুলি চালিয়ে সাতজনকে হত্যা করে। এ ঘটনায় আরো ১২ জন আহত হয়।

রাখাইনের পুলিশ প্রধান কর্নেল অং ময়াত মই রয়টার্সকে জানান, নগরীর নিরাপত্তা ব্যবস্থা কঠোর করা হচ্ছে।