সবাই ভেবেছিল স্বামী মেরেছে, কিন্তু ৮ বছর পর স্ত্রী হাজির!
২০০৯ সালে পাকিস্তানের আসমা বিবির সঙ্গে ইবরার আহমেদের বিয়ে হয়। ভালোই চলছিল তাঁদের সংসার। কিন্তু মাত্র এক বছর পর হঠাৎ উধাও হয়ে যান আসমা। কোথাও খুঁজে পাওয়া যায়নি তাঁকে।
অবশেষে আসমার মা থানায় অভিযোগ করে বসেন, ইবরারই তাঁর মেয়েকে খুন করেছেন। তার পর পুলিশ ইবরারকে গ্রেপ্তার করে।
কিন্তু হঠাৎ আট বছর পর ফিরে এসেছেন আসমা বিবি। তাও একা নন, দ্বিতীয় স্বামী ও ছয় বাচ্চা সঙ্গে নিয়ে এসেছেন তিনি।
এ সপ্তাহেই পাকিস্তানের ঝেলুম জেলার পালায়াম গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। ফিরে আসার পর প্রথম স্বামী ইবরারের পরিবার আসমা ও তাঁর স্বামীর বিরুদ্ধে মামলা করে। আর এ মামলার ভিত্তিতেই আসমাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
আসমা বিবি নিখোঁজ হওয়ার পর পাকিস্তানের প্যানাল কোডের ৩০২ ধারায় ইবরারকে গ্রেপ্তার করেছিল পুলিশ। কিন্তু পরে ‘ক্ষতিপূরণ’ পেয়ে তাঁকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছিল বলে জানান পুলিশের এক মুখপাত্র।
পুলিশ কর্মকর্তার দাবি, নিজ গ্রামের নাজির আহমেদের সঙ্গে বিয়ের আগে থেকেই সম্পর্ক ছিল আসমা বিবির। তাঁর সঙ্গেই পালিয়েছিলেন তিনি। বিয়ের পর সৌদি আরব চলে যান তাঁরা। সেখানেই কাজ করতেন নাজির আহমেদ। আর আট বছরে সৌদি আরবেই ছয় সন্তানের জন্ম দেন আসমা বিবি।
পুলিশ কর্মকর্তারা বলেন, ‘আমরা আসমা এবং তাঁর দ্বিতীয় স্বামীর বিরুদ্ধে পাকিস্তান প্যানাল কোড অনুযায়ী ৪৯৪ ও ৪২০ ধারায় মামলা করেছি। তালাক না দিয়ে দ্বিতীয় বিয়ে করার জন্যই এই মামলা।’
আসমা বিবি পুলিশকে জানান, তাঁর মতের বিরুদ্ধে গিয়ে ইবরারের সঙ্গে বিয়ে দিয়েছিল পরিবার। আসমা বলেন, ‘আমি আহমেদকে ভালোবাসতাম। আহমেদ সৌদিতে কাজ পেয়ে গেলে আমরা সেখানে স্থায়ী হওয়ার পরিকল্পনা করি।‘ নাজিরের সঙ্গে পালানোতে বিন্দুমাত্র অনুতপ্ত নন বলেও জানান তিনি।
এদিকে গত শনিবার ঝেলুম জেলার বেসামরিক বিচারক সোবিয়া খাতুন আসমার জামিন আবেদন গ্রহণ করেছেন। তবে তিনি এবং তাঁর দ্বিতীয় স্বামী প্রত্যেককে ৫০ হাজার রুপি করে জামানত দিতে বলেছেন আদালত।