যে শব্দটি বললে আস্থা হারাবেন
আমাদের অনেকের মধ্যেই কিছু মুদ্রাদোষ রয়েছে। কারো মুদ্রাদোষ আচরণে, কারো বা কথায়। বিশেষ করে, জরুরি কোনো মুহূর্তে এগুলো মহামারি আকার ধারণ করে।
বিশেষ করে চাকরির জন্য মৌখিক পরীক্ষাকক্ষের মতো জায়গায় এ এক মহাবিপদ। এমনই এক মুদ্রা দোষজনিত শব্দ হলো ‘অ্যাকচুয়ালি’ (আসলে)। প্রত্যেক কথার শুরুতে বা শেষে এই শব্দটি বলে পরীক্ষার্থী যেন ভয় থেকে এক ধরনের মুক্তি পাওয়ার চেষ্টা করেন।
কিন্তু জেনে রাখুন, প্রত্যেক কথার সঙ্গে ‘অ্যাকচুয়ালি’র ব্যবহার আপনার সেই কথাটির গুরুত্ব কমিয়ে দিচ্ছে। একই সঙ্গে কমিয়ে দিচ্ছে আপনার কথার বিশ্বাসযোগ্যতাও।
এমনও হতে পারে যে, শুধু এই শব্দটির ব্যবহার আপনার পুরো ভাইভা ফলাফলেই প্রভাব ফেলছে।
কয়েক দশক ধরে ভাইভা গ্রহণের অভিজ্ঞতা রয়েছে এমন একজন উদ্যোক্তা এরিক হোল্টৎক্লর মতামত প্রকাশিত হয়েছিল ইনক ডটকম ম্যাগাজিনে।
লিখাটি তুলে দেওয়া হলো
‘আমি আমার জীবনে এত বিক্রেতা এবং কোম্পানি দেখেছি যার সংখ্যাও আমার মনে নেই। হাজারো সাক্ষাৎকার গ্রহণের সময় আমরা মানুষের মিথ্যা ও ভুল তথ্যের কিছু লক্ষণ নির্ধারণ করেছি।
সেই অভিজ্ঞতা থেকেই আমি আপনাদের একটি গোপন পরামর্শ দিতে চাই। পরামর্শটি হলো ‘অ্যাকচুয়ালি’ কথাটি বারবার বলার অভ্যাস থাকলে এখনই ত্যাগ করুন। এটা এমন একটা শব্দ যা আপনার কথাগুলোর প্রতি সন্দেহ জাগিয়ে তোলে।
উদাহরণ স্বরূপ :
প্রশ্নকর্তা : আপনি কি আমাদের এই পণ্যটি ব্যবহার করেছেন?
উত্তরদাতা : হ্যাঁ, অ্যাকচুয়ালি আমি ব্যবহার করেছি।
এখানে, ‘অ্যাকচুয়ালি’ কথাটি প্রশ্নের উত্তর নয়। অতিরিক্ত শব্দ বলা হয়েছে। আর এটি বলার সঙ্গে সঙ্গে আপনি ‘অ্যাকচুয়ালি’ সত্যি কথা বলছেন কি না তা নিয়ে প্রশ্নকর্তার সন্দেহ জাগবে।’
শুধু এই শব্দটিই নয়, যেকোনো ধরনের মুদ্রা দোষ ত্রুটি বলেই বিবেচিত। তাই, সব মুদ্রা দোষই ঝেড়ে ফেলা উচিত। তবে, ‘অ্যাকচুয়ালি’ শব্দটি একটি সাধারণ মুদ্রা দোষ হিসেবে পাওয়া যায়।