স্ট্যাচু অব লিবার্টিতে উঠে কৃষ্ণাঙ্গ নারীর প্রতিবাদ
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের অভিবাসন নীতির বিরুদ্ধে দেশটির স্বাধীনতার স্মারক স্ট্যাচু অব লিবার্টিতে উঠে প্রতিবাদ জানিয়েছেন এক নারী। স্থানীয় সময় গতকাল বুধবার নিউইয়র্কের লিবার্টি আইল্যান্ডে এ ঘটনা ঘটে।
আইন প্রয়োগকারী সংস্থা জানিয়েছে, কৃষ্ণাঙ্গ ওই নারীর নাম তেরেজা প্যাট্রিসিয়া ওকুমু। তিনি ‘রাইজ অ্যান্ড রেজিস্ট’ নামক একটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের সদস্য। পুলিশের সহায়তায় উদ্ধার শেষে বর্তমানে তাঁকে রাষ্ট্রীয় হেফাজতে রাখা হয়েছে।
সিএনএন জানিয়েছে, উদ্ধার তৎপরতায় নিয়োজিত কর্তৃপক্ষ ওকুমুকে নেমে আসার জন্য অনুরোধ করলেও তিনি বারবার তা প্রত্যাখ্যান করেন এবং প্রায় তিন ঘণ্টা উঁচু বেদির ওপরে দাঁড়িয়ে থাকা ‘স্ট্যাচু অব লিবার্টি’ নারীমূর্তির জামা ও জুতার ওপরে বসে থাকেন।
ওপর থেকে ওকুমু বলেন, ‘আটকে রাখা সব শিশুকে ছেড়ে না দেওয়া পর্যন্ত আমি নামব না।’
সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ অফিসার ব্রায়ান গ্লাকেন জানান, বিপজ্জনক পরিস্থিতিতে উদ্ধার তৎপরতা চালাতে সক্ষম নিউইয়র্ক পুলিশ বিভাগের জরুরি সেবা ইউনিটের ১৬ সদস্য ওকুমুকে উদ্ধারকাজে নিয়োজিত ছিলেন।
ব্রায়ান বলেন, ‘প্রথমে তিনি আমাদের সঙ্গে সহযোগিতামূলক আচরণ করেননি। কিন্তু আমরা চেষ্টা করছিলাম তাঁর সঙ্গে একটি সহজ সম্পর্ক তৈরি করতে, সে জন্যই তাঁকে উদ্ধারে কিছুটা বাড়তি সময় লেগেছে। শুরুতে আমরা তাঁকে নিচে নামিয়ে আনতে গেলে তিনি বারবার আমাদের ধাক্কা মেরে ফেলে দেওয়ার হুমকি দিচ্ছিলেন। কিন্তু আমরা হাল ছাড়িনি। শেষ পর্যন্ত কর্মকর্তারা দড়ি দিয়ে উঠে তাঁর কাছে পৌঁছান। শুরুতে আক্রমণাত্মক থাকলেও পরে তাঁর সঙ্গে আমাদের একটি সম্পর্ক তৈরি হয়। উদ্ধার করার পর স্ট্যাচু অব লিবার্টিতে ওঠার জন্য তিনি আন্তরিক দুঃখ প্রকাশ করেন।’
‘রাইজ অ্যান্ড রেজিস্ট’-এর অন্যতম সংগঠক মার্টিন জোসেফ কুইন সংগঠনটির সঙ্গে ওকুমুর যুক্ত থাকার কথা স্বীকার করেন। কিন্তু তাঁর স্ট্যাচু অব লিবার্টিতে উঠে প্রতিবাদ জানানোর ব্যাপারে সংগঠন কিছু জানে না, এটি তাদের পরিকল্পনার কোনো অংশ নয় বলে জানান তিনি।
যুক্তরাষ্ট্রের ঐতিহাসিক স্থানগুলো রক্ষণাবেক্ষণের কাজে নিয়োজিত ন্যাশনাল পার্ক সার্ভিসের মুখপাত্র জেরি উইলিস জানিয়েছেন, ওকুমুকে ম্যানহাটনের ইউএস মার্শাল অফিসে নেওয়া হবে।
ওকুমুর বিরুদ্ধে অনুপ্রবেশ, অসহযোগিতা ও সরকারি কর্মকাণ্ডে হস্তক্ষেপের অভিযোগ আনা হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।