নিকারাগুয়ায় সরকারবিরোধী আন্দোলনে চার মাসে নিহত ৩০০
নিকারাগুয়ায় সরকারবিরোধী আন্দোলনকারীদের ওপর রাষ্ট্রীয় বাহিনীর চালানো সহিংসতায় গত চার মাসে অন্তত ৩০০ জন নিহত হয়েছেন। গতকাল শুক্রবার রয়টার্সে প্রকাশিত এক প্রতিবেদন থেকে এ কথা জানা যায়।
সিএনএন জানায়, গতকাল দেশটির প্রেসিডেন্ট ড্যানিয়েল ওর্তেগার অপসারণ দাবি করে সরকারবিরোধীদের ডাকা ধর্মঘট নিকারাগুয়ার বেশির ভাগ অঞ্চলের রাস্তাঘাট ফাঁকা ও দোকানপাট বন্ধ ছিল। দেশের বিভিন্ন জায়গায় প্রেসিডেন্টের অপসারণ দাবিতে আন্দোলনকারীরা বিক্ষোভ করেন বলেও জানা গেছে।
জানা যায়, চলতি বছরের এপ্রিলে প্রেসিডেন্ট ওর্তেগা সামাজিক নিরাপত্তা বিষয়ক তহবিলের ঘাটতি পূরণে নাগরিকদের প্রাপ্য পেনশন কমানোর প্রস্তাব উত্থাপন করলে তার প্রতিক্রিয়া হিসেবে সারা দেশে অস্থিতিশীলতা ছড়িয়ে পড়ে। পরবর্তী সময়ে সরকার সে সিদ্ধান্ত থেকে সরে এলেও বিক্ষোভকারীরা ওর্তেগার অপসারণ দাবি করতে থাকেন।
১৯৯০ সালের গৃহযুদ্ধের পর দেশটিতে এমন ভয়াবহ সহিংসতা আর ঘটেনি বলে জানিয়েছেন বিভিন্ন মানবাধিকার সংগঠন।
গতকাল নিকারাগুয়ার পশ্চিমের মাসায়া শহরে রাষ্ট্রীয় এক অনুষ্ঠানে দেওয়া বক্তৃতায় ওর্তেগা উদ্ভূত পরিস্থিতিতে দুঃখ প্রকাশ করেন। সরকারের বিরোধীদের সঙ্গে আলোচনায় বসতে চেয়েছেন বলেও উল্লেখ করেন সে সময়।
ওর্তেগা বলেন, ‘আমি তাঁদের আমন্ত্রণ জানিয়েছি এই সহিংসতা বন্ধ করে দেশ ও মানুষের শান্তি নিশ্চিত করতে একসাথে কাজ করার ব্যাপারে।’
ড্যানিয়েল ওর্তেগা বর্তমানে টানা তৃতীয়বারের মতো ক্ষমতায় আছেন। চলতি সরকারের মেয়াদ কাল ২০২১ সাল পর্যন্ত হলেও বিক্ষোভকারীরা আর তাঁকে চাইছে না।
এ অবস্থায় সুশীল সমাজের প্রতিনিধিরা চলমান সহিংসতা বন্ধে ২০২১ সালের আগেই নির্বাচনের প্রস্তাব দিয়েছেন সরকারকে। কিন্তু সেই রকম কিছু সম্ভব নয় বলে ওয়াশিংটনে ‘অর্গানাইজেশন অব আমেরিকান স্টেটসে’র এক অধিবেশনে ওর্তেগা সরকারের উচ্চপর্যায়ের এক কূটনীতিক জানিয়েছেন।