পুতিনকে যুক্তরাষ্ট্র সফরের আমন্ত্রণ ট্রাম্পের
রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে আসছে শরতে যুক্তরাষ্ট্র সফরের আমন্ত্রণ জানিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।
আজ শুক্রবার হোয়াইট হাউসের প্রেস সচিব সারাহ স্যান্ডার্সের বরাত দিয়ে বিবিসি এক প্রতিবেদনে এ কথা জানিয়েছে।
এক টুইট বার্তায় সারাহ স্যান্ডার্স জানান, সফরের ব্যাপারে এরই মধ্যে কথাবার্তা চলছে।
গত সোমবার ফিনল্যান্ডের হেলসিংকিতে প্রথমবারের মতো দুই নেতার বৈঠকের পর প্রচুর সমালোচনার মুখেও ট্রাম্পের পক্ষ থেকে দ্বিতীয় সাক্ষাতের ব্যাপারে এ ঘোষণা এলো।
হেলসিংকিতে অনুষ্ঠিত বৈঠকে মূলত কী নিয়ে আলোচনা হয়েছে, তার বিস্তারিত এখন পর্যন্ত জানা যায়নি।
বৈঠকের পর থেকে এখন পর্যন্ত রাশিয়ার পক্ষ থেকেও এ ব্যাপারে কিছু জানানো হয়নি।
হেলসিংকি বৈঠকে মিলিত হওয়া ও বৈঠক-পরবর্তী যৌথ সংবাদ সম্মেলনে বলা ট্রাম্পের কথাবার্তা নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রে প্রচুর সমালোচনার মুখে পড়েন ট্রাম্প। শেষমেশ সেই সমালোচনার আগুন কিছুটা নেভাতে মঙ্গলবার হোয়াইট হাউসে এক সংবাদ সম্মেলন করে হেলসিংকিতে অনেক কথা তিনি ঠিক বলেননি বলে নিজেকে শুধরে নেন। যুক্তরাষ্ট্রের ব্যাপারে রাশিয়ার ভূমিকাকে তিনি প্রশ্নবিদ্ধ করেন।
কিন্তু দুদিন যেতে না যেতেই গতকাল বৃহস্পতিবার এক টুইট বার্তায় ট্রাম্প বলেন, ‘পুতিনের সঙ্গে বৈঠকটি ছিল এক বিশাল সফলতা এবং তিনি পরবর্তী বৈঠকের জন্য অপেক্ষায় আছেন।’
ট্রাম্পের এই নতুন ঘোষণায় বিস্মিত হয়েছেন মার্কিন ন্যাশনাল ইন্টেলিজেন্সের প্রধান ড্যান কোটস। কলোরাডো অঙ্গরাজ্যে এক সাক্ষাৎকারে এ ব্যাপারে তাঁকে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি হেসে ওঠেন এবং বলেন, ‘তেমন কিছু হলে সেটা তো খুব বিশেষ কিছুই।’
হেলসিংকিতে শুধু দোভাষী বাদে তৃতীয় কোনো ব্যক্তির উপস্থিতি ছাড়া দুই দেশের নেতার একান্ত বৈঠকে আসলে কী নিয়ে আলোচনা হয়েছে, তার বিষয়ে এখন পর্যন্ত ড্যান কোটস কিছুই জানেন না বলে সাক্ষাৎকারে জানান।
মার্কিন সিনেটের ডেমোক্র্যাটিক নেতা চাক শুমার ট্রাম্পকে আহ্বান জানিয়েছেন, বৈঠকে আলোচিত হওয়া বিষয় সবাইকে জানানোর ব্যাপারে।
এক বিবৃতিতে চাক শুমার বলেন, ‘যতক্ষণ পর্যন্ত না আমরা সবাই জানতে পারি দুই ঘণ্টাব্যাপী ওই একান্ত বৈঠকে আসলে কী কী নিয়ে আলোচনা হয়েছে, তার আগ পর্যন্ত পুতিনের সঙ্গে ট্রাম্পের আর কোনো একান্ত বৈঠক হওয়া উচিত নয়, তা সে যুক্তরাষ্ট্রে হোক কিংবা রাশিয়ায় বা আর কোথাও।’