যৌন হয়রানিতে জড়িয়ে পড়ছেন এনজিও কর্মীরা
বিশ্বের বিভিন্ন দেশে সাহায্যের অজুহাতে অসহায় নারী ও শিশুদের ওপরে আন্তর্জাতিক বেসরকারি সংস্থার কর্মীদের যৌন হয়রানির ভয়াবহ চিত্র উঠে এসেছে যুক্তরাজ্য সরকারের এক তদন্ত প্রতিবেদনে।
গতকাল মঙ্গলবার যুক্তরাজ্যের পার্লামেন্ট ‘হাউস অব দ্য কমন্স’র ইন্টারন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট কমিটির (আইডিসি) প্রকাশিত তদন্তের বরাত দিয়ে এক প্রতিবেদনে সিএনএন এ কথা জানায়।
আন্তর্জাতিক পরিসরে কর্মরত এসব কর্মী খুব সহজেই এক সংস্থা থেকে অন্য সংস্থায় বা দেশে স্থানান্তর হয়ে যান। যার ফলে সহজেই তাঁরা নিজেদের আড়াল করে এ ধরনের অপরাধমূলক কার্যকলাপ চালিয়ে যেতে পারেন বলে তদন্তে উল্লেখ করা হয়।
এমন তথ্যও উঠে এসেছে যে, হাইতির এক আশ্রয়হীন কন্যাশিশুকে এক ডলারের বিনিময়ে বেসরকারি সংস্থার এক কর্মী ধর্ষণ করে বলে জানা যায়। এসব ঘটনার ফলে শিশু ও নারীদের অনাকাঙ্ক্ষিত গর্ভধারণ থেকে শুরু করে বিভিন্ন যৌনরোগ ছড়িয়ে পড়ার তথ্যও পাওয়া গেছে, যা বিপজ্জনক।
বছরের শুরুতে অক্সফাম, সেভ দ্য চিলড্রেনসহ বিশ্বের বিভিন্ন বড় বড় বেসরকারি সাহায্য সংস্থার কর্মীরা যৌন হয়রানির সঙ্গে সংশ্লিষ্ট এমন অভিযোগ উঠলে ফেব্রুয়ারিতে আইডিসি ওই তদন্ত শুরু করে।
প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়, আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোতে কর্মরত নারীরাও নানা রকম যৌন হয়রানি ও অনাচারের শিকার হন। অনাকাঙ্ক্ষিত, অশ্লীল যৌন মন্তব্য থেকে শুরু করে ধর্ষণ এর অন্তর্গত।
প্রতিবেদনে বলা হয়, ‘সর্বতোভাবে না হলেও প্রধানত ক্ষমতার অসমতার ফলে পুরুষদের দ্বারা নারী ও শিশুরা নির্যাতিত হচ্ছে।’
এ তদন্তে বেরিয়ে আসা তথ্য আসলে ‘ডুবে থাকা বিশাল বরফ-পাহাড়ের ভেসে ওঠা সামান্য অংশ’ বলে জানিয়েছে কমিটি।
বছরের পর বছর ধরে চলে আসা এ ধরনের ঘটনা নিয়ন্ত্রণ করতে না পারার জন্য সাহায্য সংস্থাগুলোর সমালোচনা করেছেন কমিটির চেয়ারম্যান স্টিফেন টুইগ। তিনি সিএনএনকে বলেন, এ প্রতিবেদন অন্তত ১৬ বছর ধরে সাহায্যকারী সংস্থাগুলোর কর্মীদের দ্বারা নানা রকম যৌন হয়রানির ঘটনাগুলো চিহ্নিত না করতে পারার ব্যর্থতাকেই নির্দেশ করে।