ভারতের সাবেক প্রধানমন্ত্রী অটল বিহারি বাজপেয়ির শেষকৃত্য সম্পন্ন হবে আজ শুক্রবার বিকেল ৫টার দিকে দিল্লির স্মৃতিস্থলে। এদিন বাজপেয়ির শেষকৃত্যে উপস্থিত থাকছেন বিভিন্ন দেশের প্রতিনিধিরা।

জানা গেছে, পাকিস্তানের আইন ও তথ্যমন্ত্রী ব্যারিস্টার সইদ আলি জাফরকে প্রতিনিধি হিসেবে ভারতে আসছেন। বাজপেয়িকে শেষ শ্রদ্ধা জানাতে দিল্লিতে আসছেন নেপালের পররাষ্ট্রমন্ত্রী প্রদীপ গওয়ালি। প্রতিবেশী রাষ্ট্র বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও বাজপেয়িকে শেষবারের শ্রদ্ধা জানাতে পাঠাচ্ছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ এইচ মাহমুদ আলীকে। শ্রীলঙ্কার পররাষ্ট্রমন্ত্রী লক্ষ্মণ কিরিয়েলা যাচ্ছেন বাজপেয়িকে শেষ শ্রদ্ধা জানাতে।

বৃহস্পতিবার রাতে বাজপেয়ির মরদেহ রাখা ছিল তাঁর সরকারি বাসভবন ৬-এ কৃষ্ণ মেনন রোডের বাসভবনে। সেখানে তাঁকে শ্রদ্ধা জানান বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতানেত্রী থেকে শুরু করে মন্ত্রী ও সমাজের বিভিন্ন মহলের মানুষ। সেখান থেকে আজ সকাল ৯টা নাগাদ বাজপেয়ির মরদেহ নিয়ে যাওয়া হয় দিল্লির দীনদয়াল উপাধ্যায় মার্গের বিজেপির সদর দপ্তরে। এই সদর দপ্তরে বসেই দীর্ঘদিন দলীয় কাজকর্ম পরিচালনা করেছেন বাজপেয়ি। প্রয়াত বাজপেয়িকে দলীয় সদর দপ্তরে গ্রহণ করেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্বরা।

দুপুর ১টায় দিল্লির দীনদয়াল উপাধ্যায় মার্গ থেকে বাজপেয়ির শেষ যাত্রা শুরু হবে। বিকেল সাড়ে ৪টা নাগাদ ভারতীয় সেনাবাহিনীর উপস্থিতিতে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় অটল বিহারি বাজপেয়ির শেষকৃত্য সম্পন্ন হবে সবুজেঘেরা স্মৃতিস্থলে। রাজধানী দিল্লির শান্তিবন ও বিজয়ঘাটের মধ্যবর্তী স্থানে অবস্থিত এই স্মৃতিস্থল। ২০০২ সালে যমুনার ধারে এই স্মৃতিস্থলে ভারতের সাবেক প্রধানমন্ত্রী আই কে গুজরালেরও শেষকৃত্য সম্পন্ন হয়।

অটল বিহারি বাজপেয়ির মরদেহ নিয়ে অন্তিমযাত্রার কথা মাথায় রেখে আজ সকাল থেকে দিল্লি পুলিশের তরফে রাজধানীতে যান চলাচলের ক্ষেত্রে বিশেষ নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে। দিল্লির কৃষ মেনন মার্গ, আকবর রোড, জনপথ ও ইন্ডিয়া গেটমুখী সব রাস্তা সকাল থেকে সর্বসাধারণের জন্য বন্ধ রাখা হয়েছে। এ ছাড়া কাশ্মীরি গেট থেকে শান্তিবন ও রাজঘাটমুখী রাস্তায়ও যান চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছে। যান নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছে দিল্লির তুঘলক রোড, আকবর রোড, মানসিং রোড, শাহজাহান রোড, সিকান্দার রোড, আই পি মার্গ, নেতাজি সুভাষ মার্গসহ একাধিক রাস্তায়ও।

বাজপেয়ির মৃত্যুতে ভারতে সাত দিনের রাষ্ট্রীয় শোক ঘোষণা করা হয়েছে। এ ছাড়া আজ ভারতের সব সরকারি দপ্তরে অর্ধদিবস ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে।