যুক্তরাষ্ট্রে আঘাত হেনেছে ঘূর্ণিঝড় ‘ফ্লোরেন্স’
যুক্তরাষ্ট্রের নর্থ ও সাউথ ক্যারোলাইনা অঙ্গরাজ্যে আঘাত হেনেছে ঘূর্ণিঝড় (হারিকেন) ‘ফ্লোরেন্স’। ঘূর্ণিঝড়টি এখন ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ১৫০ কিলোমিটার গতিতে ছুটছে। স্থানীয় সময় গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে ঘূর্ণিঝড় ফ্লোরেন্স দেশটির পূর্ব উপকূলে আঘাত হানতে শুরু করে। তবে আজ শুক্রবার ক্যারোলাইনায় আঘাত হানার পর এর গতি বা শক্তি কমতে থাকে।
প্রশাসন থেকে সতর্কতা জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, ঘূর্ণিঝড়টির কারণে ভয়ংকর বন্যা হতে পারে, মারা যেতে পারে বহু মানুষ। এর আগে বুধবার সকালে সমুদ্রের ঢেউয়ের উচ্চতা দেখা গেছে ৮৩ ফুট।
এরই মধ্যে হাজার হাজার বাড়িতে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। সমুদ্রের পানি উঠে আসতে শুরু করেছে উপকূলবর্তী রাস্তাগুলোতে। দুর্যোগেকবলিত লাখো মানুষের জন্য প্রয়োজনীয় সবকিছু এখন প্রস্তুত রয়েছে।
ঘূর্ণিঝড়ের ফলে নর্থ ক্যারোলাইনায় আজ ভূমিধসের আশঙ্কা রয়েছে। এ অঙ্গরাজ্যের গভর্নর রয় কুপার বলেছেন, ‘এই সময়ে টিকে থাকতে সহনশীলতা, একতা, উপস্থিত বুদ্ধি এবং ধৈর্যের পরীক্ষা হবে।’
জাতীয় জরুরি ব্যবস্থাপনা সংস্থার (ফেমা) প্রধান ব্রক লং বলেন, ‘এই অঞ্চলের নদী বা সমুদ্র উপকূল এবং নিম্ন অঞ্চলের অধিবাসীরা এখন সবচেয়ে ঝুঁকিতে রয়েছে।’
যুক্তরাষ্ট্রের বিশ্লেষণকারী প্রতিষ্ঠান কোরলজিক বলছে, ঘূর্ণিঝড়ের আঘাতে ১৭০ বিলিয়ন (১৭ হাজার কোটি) ডলারের ক্ষয়ক্ষতি হবে। সাত লাখ ৫৯ হাজার ঘরবাড়ি ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ক্ষতিগ্রস্ত হবে।
সাউথ ক্যারোলাইনার কারা কর্তৃপক্ষের মুখপাত্র জানান, নিরাপদ আশ্রয়ে যাওয়ার নির্দেশ বাধ্যতামূলক হলেও প্রায় এক হাজার বন্দিকে সরানো হবে না। কারণ অতীতের অভিজ্ঞতা অনুযায়ী তাদের জন্য এই জায়গাটিই নিরাপদ।