সরে দাঁড়াচ্ছেন না ব্রেট কাভানা
দুটি যৌন হয়রানির অভিযোগ ওঠা সত্ত্বেও সরে দাঁড়াচ্ছেন না যুক্তরাষ্ট্রের সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি হিসেবে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের মনোনীত ব্যক্তি ব্রেট কাভানা। স্থানীয় সময় সোমবার ফক্স নিউজকে কাভানা জানিয়েছেন, মিথ্যা অভিযোগকে আমলে নিয়ে তিনি মনোনয়ন প্রক্রিয়া থেকে সরে দাঁড়াচ্ছেন না।
কাভানাকে মনোনীত ঘোষণার পর থেকে দুই নারী তাঁর বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির অভিযোগ এনেছেন। সর্বশেষ তাঁর স্কুলের এক সহপাঠীর অভিযোগকে উড়িয়ে দিয়ে সোমবার ফক্স নিউজকে কাভানা জানান, তিনি হাইস্কুলে বা অন্য কোনো সময়ই কাউকে যৌন হয়রানি করেননি।
অন্যদিকে, নিউইয়র্কে জাতিসংঘে বক্তৃতাকালে ডোনাল্ড ট্রাম্প বিচারক কাভানার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগকে ‘অন্তঃসারশূন্য’ এবং ‘রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত’ বলে উল্লেখ করেছেন।
হোয়াইট হাউসের জ্যেষ্ঠ উপদেষ্টা কেলিয়ান কনওয়ে বলেছেন, তাঁর মনে হতে শুরু হয়েছে, এটি বামপন্থীদের কোনো ষড়যন্ত্র।
যৌন হয়রানির অভিযোগ ওঠার পর থেকেই ডেমোক্রেট শিবির থেকে বিচারপতি বাছাইয়ের ভোট পেছানোর দাবি তোলা হচ্ছে। তারা আগে অভিযোগের তদন্তের কথা বলছেন।
ইয়েল বিশ্ববিদ্যালয়ে বিচারক কাভানার সহপাঠী ছিলেন ডেবোরাহ রামিরেজ নামের সেই নারী। রোববার সংবাদমাধ্যম নিউইয়র্কারকে তিনি বলেন, শিক্ষার্থীদের একটি আবাসনে অনুষ্ঠান চলছিল। সেখানে কাভানা তাঁর জননাঙ্গ প্রদর্শন করেন এবং অনুমতি ছাড়া তাঁর শরীরে ঠেসে ধরেন।
ডেবোরাহ রামিরেজ বলেন, ১৯৮৩-৮৪ শিক্ষাবর্ষে তিনি ও কাভানা ইয়েল বিশ্ববিদ্যালয়ে মাত্র ভর্তি হয়েছেন। সে সময় যৌন হয়রানির ঘটনা ঘটে। শিক্ষার্থীদের আবাসনে একটি অনুষ্ঠানে তাঁরা অংশ নিয়েছিলেন। সেখানে তিনি যৌন হয়রানির শিকার হন।
এর আগে গত সপ্তাহে ক্রিস্টিন ব্ল্যাসি ফোর্ড নামের এক অধ্যাপক বিচারক ব্রেট কাভানার বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির অভিযোগ করেন। আগামী বৃহস্পতিবার সিনেট জুডিশিয়ারি কমিটিতে তাঁর সাক্ষ্য নেওয়া হবে।
ওয়াশিংটন বিবিসির অ্যান্থনি জার্চার এক বিশ্লেষণে জানিয়েছেন, নতুন কোনো শক্ত অভিযোগ না আসা পর্যন্ত এখনো রিপাবলিকান নীতিনির্ধারকরা কাভানাকেই বিচারপতি হিসেবে দেখতে চাইছেন।