যুদ্ধক্ষেত্রে যৌন সহিংসতা প্রতিরোধে শান্তিতে নোবেল
যুদ্ধক্ষেত্রে যৌন সহিংসতা রোধে গুরুত্বপূর্ণ অবদানের জন্য ২০১৮ সালে শান্তিতে যৌথভাবে নোবেল পুরস্কার পেলেন কঙ্গোর চিকিৎসক ডেনিস মুকওয়েগে ও ইরাকের ইয়াজিদি মানবাধিকারকর্মী নাদিয়া মুরাদ।
নোবেল কমিটি ঘোষণায় বলেছে, ‘পুরস্কারপ্রাপ্ত উভয়েই যৌন সহিংসতাবিষয়ক যুদ্ধাপরাধ রোধে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছেন।’
স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞ মুকওয়েগে ও নাদিয়া মুরাদ পুরস্কার হিসেবে একটি করে সোনার পদক পাবেন। আর পুরস্কারের অর্থ ৯০ লাখ সুইডিস ক্রোনার দুজনে ভাগ করে নেবেন।
মুকওয়েগে কঙ্গোর পূর্বাঞ্চলীয় শহর বুকাভুতে পাঞ্জি হাসপাতালের পরিচালক। হাসপাতালটি ১৯৯৯ সালে যাত্রা শুরু করে। এখানে প্রতিবছর হাজার হাজার নারী যৌন সহিংসতার শিকার হয়ে চিকিৎসাসেবা নিতে আসেন। আক্রান্তদের অনেকের অবস্থা এতটাই খারাপ থাকে যে তাঁদের সার্জারি করতে হয়। মুকওয়েগে ও তাঁর সহকর্মীরা সেইসব নারীকে চিকিৎসা দিয়ে থাকেন।
ইরাকের ইয়াজিদি সম্প্রদায়ভুক্ত ২৫ বছরের নাদিয়া মুরাদ ২০১৪ সালে ইরাকের মসুলে আইএস জঙ্গিদের হাতে ধরা পড়েন। সে সময় জঙ্গিরা তাঁর পরিবারের ছয় ভাই ও মাকে হত্যা করে। পরে তাঁকে যৌনদাসী হিসেবে বিক্রি করে দেওয়া হয়। তিনি সেখান থেকে পালিয়ে আসেন। এখন তিনি যুদ্ধক্ষেত্রে যৌন সহিংসতার শিকার নারীদের পাশে থেকে কাজ করেন।
চলতি বছরের ১০ ডিসেম্বর অসলোতে নোবেল প্রবর্তনকারী আলফ্রেড নোবেলের মৃত্যুবার্ষিকী পালনের অনুষ্ঠানে মুকওয়েগে ও নাদিয়ার হাতে এই পুরস্কার তুলে দেওয়া হবে।