তাই বলে আহত কচ্ছপের জন্য হুইলচেয়ার!
সত্যি! আহত এক কচ্ছপের শুশ্রূষার জন্য রীতিমতো হুইলচেয়ার উদ্ভাবন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের একটি চিড়িয়াখানা!
সম্প্রতি দেশটির মেরিল্যান্ড অঙ্গরাজ্যের শহর বাল্টিমোরের ‘মেরিল্যান্ড চিড়িয়াখানা’র এক কর্মী আহত অবস্থায় বাহারি রঙের একটি জংলি কচ্ছপ উদ্ধার করেন। চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষ জানায়, কচ্ছপটিকে খোলসে ফাটল ধরা অবস্থায় উদ্ধার করা হয়।
চিড়িয়াখানার পশুচিকিৎসক গ্যারেট ফ্রায়েস বলেন, ‘কচ্ছপটির সেরে ওঠার জন্য তার খোলস যাতে মাটিতে লেগে না যায়, সে বন্দোবস্ত করা খুব জরুরি হয়ে পড়েছিল। কেননা, ফাটল ধরা খোলস মাটিতে ছেঁচড়ে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছিল।
কী করা যায় ভাবতে ভাবতে শেষমেশ হুইলচেয়ারের আইডিয়া মাথায় আসে কর্তৃপক্ষের। কিন্তু কচ্ছপের জন্য তো কেউ হুইলচেয়ার বানায় না। আরেক বিপদ! অবশেষে লেগো দিয়ে একটি হুইলচেয়ার বানানোর বুদ্ধি মাথায় আসে তাঁদের।
গ্যারেট ফ্রায়েস বলেন, ‘আমরা কচ্ছপটির জন্য বিশেষ ধরনের একটি হুইলচেয়ারের বেশ কয়েকটি ডিজাইন এঁকে লেগো দিয়ে বিভিন্ন জিনিস বানাতে ওস্তাদ এক বন্ধুর কাছে পাঠিয়ে দিই।’
সত্যি বলতে কি, ওই ডিজাইন অনুসারে বানানো হুইলচেয়ার আসলেই কাজে লেগে যায়। কচ্ছপটির অস্ত্রোপচার করার দুই সপ্তাহ পর তাকে উপহার দেওয়া হয় ঐতিহাসিক ওই হুইলচেয়ার!
আর চালু কচ্ছপ অনায়াসে সেটি নিজের সঙ্গে খাপ খাইয়ে নেয়। গ্যারেট ফ্রায়েস বলেন, ‘কচ্ছপটি মোটেও অস্বস্তি বোধ করল না। সে এখন অনায়াসে হুইলচেয়ারে ভর দিয়ে চলাফেরা করছে।‘
আগামী শীত ও বসন্তকাল কচ্ছপটি এই হুইলচেয়ারেই থাকবে বলে জানায় মেরিল্যান্ড চিড়িয়াখানা। সেরে উঠলে এটিকে আবার জঙ্গলে ফিরিয়ে দেওয়া হবে।
‘হুইলচেয়ারে কচ্ছপ’—সম্প্রতি চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম টুইটারে এমন কিছু ছবি পোস্ট করে। এটি মানুষজনের মধ্যে ব্যাপক সাড়া ফেলে।
একজন সেই যে সবারই ছোটবেলায় পড়া কচ্ছপ আর খরগোশের দৌড় প্রতিযোগিতার গল্প, তার প্রসঙ্গ টেনে লেখেন, ‘আবার একটা দৌড় হবে নাকি, কচ্ছপ ভায়া?’