স্বাধীনতা চায় না নিউ ক্যালিডোনিয়া
স্বাধীনতা চায় না ওসেনিয়া অঞ্চলের দ্বীপ নিউ ক্যালিডোনিয়া। দ্বীপটি বর্তমানে ফ্রান্সের নিয়ন্ত্রণে। গতকাল রোববার আয়োজিত এক গণভোটে দ্বীপটির বাসিন্দারা এ মতামত জানায়।
প্রশান্ত মহাসাগরে এ দ্বীপটির অবস্থান অস্ট্রেলিয়ার কাছাকাছি এলাকায়। গণভোটে দ্বীপটির ৫৬ দশমিক ৪ শতাংশ লোক ফরাসি নিয়ন্ত্রণে থাকার পক্ষে ভোট দিয়েছেন। আর ৪৩ দশমিক ৬ শতাংশ ভোট পড়েছে স্বাধীনতার পক্ষে। মোট ৮১ শতাংশ ভোটার এতে অংশ নেন।
সেখানকার স্বাধীনতাকামী ‘কনক’ আদিবাসী সম্প্রদায়ের লোকজনের সহিংস বিক্ষোভের মুখে দুই দশক আগে ১৯৯৮ সালে গণভোটের প্রতিশ্রুতি দেয় ফরাসি কর্তৃপক্ষ।
একে ‘ফরাসি প্রজাতন্ত্রের প্রতি আস্থা’ হিসেবে দেখছেন ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাখোঁ। ভোটের ফলাফলের পর একথা বলেন তিনি।
এর আগে এ বছরের মে মাসে অঞ্চলটির রাজধানী নুমিয়া সফরকালে ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট বলেছিলেন, ‘নিউ ক্যালিডোনিয়া বাদে ফ্রান্সকে কিছুটা কম সুন্দরই দেখাবে।’
‘প্যারিসের নিয়ন্ত্রণের উপনিবেশের শেকল ছিঁড়ে ফেলো’-স্বাধীনতাকামী কনকগোষ্ঠীর কর্মীরা নির্বাচনী প্রচারে এমন আহ্বান জানায়।
এই দুর্গম দ্বীপপুঞ্জ প্রতিবছর ফরাসি সরকারের কাছ থেকে দেড় বিলিয়ন ডলার সমপরিমাণ অর্থ পেয়ে থাকে।
নিউ ক্যালিডোনিয়ার বিপুল পরিমাণ নিকেল রয়েছে। ইলেকট্রনিক সামগ্রী তৈরিতে নিকেল খুবই গুরুত্বপূর্ণ উপাদান হিসেবে কাজ করে। এ কারণে ফরাসি সরকার নিউ ক্যালিডোনিয়াকে রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক কৌশলগত জায়গা থেকে গুরুত্ব দিয়ে থাকে।
ফরাসিদের নিয়ন্ত্রণমুক্ত হয়ে ১৯৭৭ সালে জিবুতি ও ১৯৮০ সালে ভানুয়াতু স্বাধীনতার পথ বেছে নেয়। ১৯৯৮ সালে ফরাসি কর্তৃপক্ষের প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী, ২০২২ সালের আগে আরো দুটি গণভোট হওয়ার কথা রয়েছে নিউ ক্যালিডোনিয়ায়।