অভ্যন্তরীণ বিষয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের হস্তক্ষেপে সহযোগিতা করার কারণ দেখিয়ে প্রতিবেশী কলম্বিয়ার সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্নের ঘোষণা দিয়েছেন ভেনেজুয়েলার প্রেসিডেন্ট নিকোলাস মাদুরো। তিনি কলম্বিয়ার কূটনীতিকদের ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ভেনেজুয়েলা ত্যাগ করার নির্দেশ দিয়েছেন।

মধ্যপ্রাচ্যভিত্তিক গণমাধ্যম আলজাজিরার প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, শনিবার রাজধানী কারাকাসে নিকোলাস মাদুরো তাঁর সমর্থকদের বিশাল এক সমাবেশের ভাষণে এ সিদ্ধান্তের কথা জানান।

এদিকে, সীমান্তে মাদুরোবিরোধীদের সঙ্গে দেশটির আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সংঘর্ষে অন্তত দুজন নিহত হয়েছেন বলে মানবাধিকার সংস্থার বরাত দিয়ে জানিয়েছে ব্রিটিশ গণমাধ্যম বিবিসি। এতে আরো বলা হয়েছে, বিক্ষোভকারীরা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পাঠানো ত্রাণ সংগ্রহ ও পরিবহনের সময় এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।

এ ঘটনার জন্য ‘মাদুরোর দুর্বৃত্তদের’ দায়ী করে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও। তিনি এক টুইটে বলেছেন, ‘অপরাধীদের হাতে যাঁরা প্রাণ হারিয়েছেন, তাঁদের পরিবারের প্রতি আমাদের গভীর সমবেদনা।’

ভেনেজুয়েলার স্বঘোষিত অন্তর্বর্তীকালীন প্রেসিডেন্ট হুয়ার গুয়াইদোও সাধারণ মানুষের ওপর আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হামলার নিন্দা জানিয়েছেন। তিনি ত্রাণ সরবরাহে সহযোগিতার জন্য দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। 

কূটনীতিকদের বহিষ্কারের ঘটনায় তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেছে কলম্বিয়া। দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী কার্লোস হোলমেস ত্রুজিল্লু বলেছেন, কলম্বিয়া ভেনেজুয়েলার নেতার এ ধরনের ‘আদেশকে’ গ্রাহ্য করে না। তবু কূটনীতিকদের ‘জীবনের ও নৈতিকতার’ কথা বিবেচনা করে যত দ্রুত সম্ভব তাঁদের ফিরিয়ে নেওয়া হবে।

নিকোলাস মাদুরো ক্ষমতায় থাকা নিয়ে লাতিন আমেরিকার এই দেশটিতে বেশ কিছুদিন অসন্তোষ চলছে। ভেঙে পড়েছে দেশটির অর্থনীতি। লাখ লাখ মানুষ সীমান্ত পাড়ি দিয়ে প্রতিবেশী বিভিন্ন দেশে পাড়ি জমাচ্ছেন।

এ অবস্থায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ত্রাণ সহায়তা পাঠায় দেশটিতে। কিন্তু এসব ত্রাণ গ্রহণে অস্বীকৃতি জানান নিকোলাস মাদুরো। এর ব্যাখ্যায় তিনি বলেন, ত্রাণ সরবরাহের মাধ্যমে ভেনেজুয়েলায় হস্তক্ষেপের চেষ্টা চালাচ্ছে ট্রাম্প প্রশাসন।