ভারতের যুদ্ধবিমান সংক্রান্ত নথি চুরি
ভারতের কেন্দ্রীয় প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে চুরি হয়ে গেছে ‘রাফাল যুদ্ধবিমান’ সংক্রান্ত গুরুত্বপূর্ণ নথি। আজ বুধবার ভারতের সুপ্রিম কোর্টে এ কথা জানিয়েছে কেন্দ্র।
এর আগে বারবার রাফাল চুক্তি নিয়ে চূড়ান্ত দুর্নীতি হয়েছে বলে সরব হয়েছিলেন কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধী, যা নিয়ে উত্তাল হয়ে ওঠে পার্লামেন্টও। গত ১৪ ডিসেম্বর রাফাল নিয়ে কেন্দ্রকে ‘ক্লিনচিট’ দিয়েছিলেন সর্বোচ্চ আদালত। কিন্তু সেই রায়ের বিরুদ্ধে আদালতে ফের আবেদন করেন আইনজীবী তথা সমাজকর্মী প্রশান্ত ভূষণ।
সকালে সেই মামলা শুরু হতেই রাফাল নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ নথির খোঁজ করেন সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈর নেতৃত্বাধীন ডিভিশন বেঞ্চ। তিন সদস্যের এই বেঞ্চে ছিলেন বিচারপতি রঞ্জন গগৈর নেতৃত্বে বিচারপতি সঞ্জয় কউল ও কে এম জোসেফ। আদালতের প্রশ্নের জবাবে কেন্দ্রের তরফে অ্যাটর্নি জেনারেল কেকে বেণুগোপাল জানিয়ে দেন, প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে সব নথি চুরি হয়ে গিয়েছে। যা শুনে আদালতের এজলাসে সবাই কার্যত অবাক হয়ে যান। কারণ, রাফালের মতো গুরুত্বপূর্ণ নথি কীভাবে প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে চুরি হয়ে গেল, তাই নিয়ে স্বভাবতই প্রশ্ন উঠে যাচ্ছে।
এর পরেই আদালতের তরফে প্রশ্ন করা হয়, চুরির পরিপ্রেক্ষিতে সরকার কী পদক্ষেপ নিয়েছে? জবাবে জানানো হয়, বিষয়টি নিয়ে তদন্ত করা হচ্ছে। সরকারি আইনজীবী আদালতকে জানান, প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে ওই নথিগুলো চুরি করা হয়েছে। চুরিতে সাহায্য করেছে ওই মন্ত্রণালয়ের সাবেক অথবা বর্তমান কর্মচারীরা। এগুলো অত্যন্ত গোপন নথি, যা কোনোভাবেই প্রকাশ্যে আনা যেতে পারে না। সেইসঙ্গে সরকারি আইনজীবী কে কে বেণুগোপাল দাবি করেছেন, যাঁরা রাফাল চুক্তির খুঁটিনাটি জনসমক্ষে আনছেন, তাঁরা সরকারি গোপনীয়তা আইন ভঙ্গ করছেন। একই সঙ্গে আদালত অবমাননা করছেন বলেও দাবি করেন তিনি।