‘কলার বাগানে রাসায়নিক, মারা যাচ্ছে গবাদিপশু’
বেশ কয়েকটি গ্রামে গড়ে উঠেছে বিশাল বিশাল কলার বাগান। কলা উৎপাদনে টিস্যু-কালচার পদ্ধতি এবং এতে ব্যবহৃত রাসায়নিকের কারণে এসব গ্রামের কৃষকদের গবাদিপশু মারা যাচ্ছে বলে দাবি করেছে মিয়ানমারের কাচিন রাজ্যের উপজাতি অধ্যুষিত চারটি গ্রামের বাসিন্দারা। এসব কলার বাগানের কারণে গ্রামের কৃষকদের জীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে।
গ্রামবাসীর জমি দখল করে বড় বড় কলার বাগান করা হয়েছে। বাগানিরা বলছেন, সরকারের কাছ থেকে ইজারা নিয়ে কলার আবাদ করছেন তাঁরা। তবে সরকারি দপ্তরে এমন কোনো ইজারার তথ্য নেই।
সম্প্রতি কাচিনের মোমক এলাকার ম্যান পিন ও ওয়াইংম এলাকার অং মে গ্রামসহ আশপাশের চারটি গ্রামের লোকজন রাজ্যের মিতকিয়িনার মান্দালয় শহরে সংবাদ সম্মেলন করে এসব অভিযোগের কথা জানায়। মিয়ানমার টাইমসের খবরে এ কথা জানানো হয়।
সংবাদ সম্মেলনে গ্রাম সর্দার উ অং মিন্ট বলেন, ‘আমরা আমাদের জমি ফেরত চাই। এজন্য কলার বাগানিরা আমাদের বলের এই এক লাখ ২১ হাজার ৪০০ হেক্টর জমির জন্য প্রতি ছয় মাস পরপর ট্যাক্স দিতে হবে আমাদের। অথচ কোথায় ট্যাক্স দিতে হবে তাঁরা তা বলতে পারেন না।
মিয়ানমারের কাচিন রাজ্যের মিতকিয়িনার মান্দালয় শহরে সংবাদ সম্মেলন করেন গ্রামবাসী। ছবি : সংগৃহীত
কলার বাগানিরা বলছেন, সরকার এসব জমি কিনে নিয়ে তাদের চাষাবাদের জন্য ইজারা দিয়েছে। তারা এখন বলছে, আমরা এখানে দখলদার, আমাদেরকে গ্রাম ছাড়তে হবে। অথচ আমরা এখানে বছরের পর বছর ধরে আছি এবং এসব জমি চাষাবাদ করে আসছি।
রাসায়নিক ব্যবহৃত কলার বাগানের পানি পান করে এবং কলার বাগানের বেড়ার উপর পড়ে আশপাশ কয়েকটি গ্রামের বহু গবাদিপশু মারা গেছে বলে জানা গেছে।
মিয়ানমার এথনিক ফার্মারস ইউনিয়নের সেক্রেটারি উ তুন অয়ে জানান, সরকারি নধি ঘেঁটে জমি ইজারা দেওয়া কোনো প্রতিষ্ঠানের নাম পাওয়া যায়নি। অনুমতি ছাড়াই তারা হেক্টরের পর হেক্টর জমিতে টিস্যু-কালচার কলার আবাদ করছে।’
তিনি বলেন, এসব জমি বন মন্ত্রণালয়ের অধীনে থাকার কথা। প্রায় ১০ বছর আগে থেকে সেগুন জাতীয় গাছ কেটে একের পর এক কলার বাগান করা শুরু হয়েছে। মূলত এগুলো গ্রামবাসীর অধীনে থাকা জমিগুলো দিন দিন তাদের বেহাত হয়ে যাচ্ছে।