‘নির্বাচনের আগে ভারত আবারও সুযোগ নিতে পারে’
পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান আশঙ্কা প্রকাশ করে বলেছেন, ‘ভারতকে যুদ্ধবাতিক পেয়ে বসেছে। প্রতিবেশী দেশের জাতীয় নির্বাচনের ফলে দুই দেশের মধ্যে সম্পর্কে নতুন করে উত্তেজনা দেখা দিতে পারে।
‘নির্বাচনের আগমুহুর্ত পর্যন্ত আমি সন্দিহান, যেকোনো কিছু ঘটতে পারে।’ মঙ্গলবার ইসলামাবাদে নিজ কার্যালয়ে লন্ডনভিত্তিক গণমাধ্যম ফিনান্সিয়াল টাইমসকে সাক্ষাৎকার দেওয়ার সময় এ কথা বলেন ইমরান খান।
পাকিস্তানের সাবেক এই ক্রিকেটার বলেন, ‘সম্প্রতি কাশ্মীরে ভারতীয় আধা-সামরিক পুলিশের গাড়িবহরে হামলা চালানো সন্ত্রাসী সংগঠন জইশ-ই-মোহাম্মদের সঙ্গে পাকিস্তানের কোনো যোগাযোগ নেই।’ বরং উপর্যুপরি মিসাইল হামলা করে দুটি দেশকে যুদ্ধের কাছাকাছি নিয়ে আসার জন্য ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে দায়ী করেন ইমরান খান।
এ সময় পাকিস্তান চীনের ভোক্তা রাষ্ট্রে পরিণত হচ্ছে এমন দাবিকেও নাকচ করে দেন তিনি।
সন্ত্রাসের দায় অস্বীকার করে গত বছরের আগস্টে ক্ষমতায় আসা ইমরান খান বলেন, ‘আমার নয়া পাকিস্তানে সন্ত্রাসের কোনো স্থান নেই। আমরা ইতোমধ্যে অভিযান শুরু করেছি। সন্ত্রাসীদের পুরো সেট-আপ ধ্বংস করে দিচ্ছি। এই খাতে পাকিস্তানে যা করা হচ্ছে পাকিস্তানে এর আগে কখনোই করা হয়নি।’
গত ১৪ ফেব্রুয়ারি কাশ্মীরের পুলওয়ামায় ভারতীয় আধাসামরিক বাহিনীর গাড়িবহরে এক আত্মঘাতী হামলায় প্রায় ৫০ জন পুলিশ সদস্য নিহত হন।
এর দুই সপ্তাহ পর ২৬ ফেব্রুয়ারি পাকিস্তানে বিমান হামলা চালায় ভারত। ভারতের পক্ষ থেকে বলা হয়, ওই হামলায় ৩০০জন জইশ-ই-মোহাম্মদ সদস্য নিহত হয়েছে। বার্তা সংস্থা রয়টার্স অবশ্য তাদের প্রতিবেদনে জানায়, একজনেরও মৃত্যু হয়নি ওই হামলায়। বেশকিছু দিন দুই দিকের সীমান্তেই যুদ্ধ যুদ্ধ রব ওঠে। গুলিবর্ষণ, হামলা পাল্টা হামলা চলতেই থাকে। পরে পাকিস্তানের হাতে আটক ভারতীয় পাইলটকে ফেরত দেওয়ার পর উভয় দিকে উত্তেজনা কমে আসতে শুরু করে।