ইন্দোনেশিয়ায় ‘ভোট গণনার কাজের চাপে’ ২৭২ জনের মৃত্যু
একই দিনের হিসাবে বিশ্বের সবচেয়ে বড় ভোটযজ্ঞ হয় ইন্দোনেশিয়ায়। গত ১৭ এপ্রিল হওয়া দেশটির জাতীয় নির্বাচনে বাড়তি কাজের চাপে অবসাদজনিত রোগে পড়ে ২৭২ নির্বাচনী কর্মকর্তার মৃত্যু হয়েছে।
২৬ কোটি মানুষের দেশে ভোটার ১৯ কোটি ৩০ লাখ। একই দিনে প্রেসিডেন্ট পদে, পার্লামেন্টের উচ্চ ও নিম্নকক্ষের সদস্য পদে এবং আঞ্চলিক নির্বাচনের ভোটগ্রহণ হয়। খরচ কমাতে ইন্দোনেশিয়ার সরকার সবপর্যায়ের ভোট একই দিনে নিয়ে থাকে। এবার ভোট পড়ে ৮০ শতাংশ। এদের প্রত্যেকে পাঁচটি করে ব্যালট পেপারে ভোট দেন। আট লাখ ভোটকেন্দ্রের বিপুল ব্যালট পেপার সম্পূর্ণ হাতে গণনা করা হয়। এ কারণে ভোট গণনার কাজের চাপ সইতে না পেরে অসুস্থ হয়ে পড়ছে অনেকে।
শনিবার রাত পর্যন্ত ১০ দিনে ২৭২ জনের মৃত্যু হয়েছে এবং অপর এক হাজার ৮৭৮ জন চিকিৎসাধীন রয়েছে। রোববার ইন্দোনেশিয়ার নির্বাচন কমিশনের মুখপাত্র আরিফ প্রিয় সুশান্ত রয়টার্সকে এ কথা জানান।
কর্মীদের মৃত্যুর ঘটনায় ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়েছে দেশটির জাতীয় নির্বাচন কমিশন। তবে এবারই প্রথম পাঁচ স্তরের ভোট একসঙ্গে নেওয়া হয়েছে।
প্রেসিডেন্ট পদের প্রার্থী জোকো উইদোদো ও সাবেক সেনা কর্মকর্তা জেনারেল প্রবোও সুবিয়ান্তো নিজেদের বিজয়ী দাবি করেছেন। তবে বেসরকারি ফল অনুযায়ী উইদোদো এগিয়ে রয়েছেন। আগামী ২২ মে আনুষ্ঠানিক ফল ঘোষণার কথা রয়েছে। এর আগের বারের নির্বাচনে সামান্য ভোটের ব্যবধানে সুবিয়ান্তোকে হারান উইদোদো।
পৃথিবীর তৃতীয় বৃহত্তম গণতান্ত্রিক দেশটির নির্বাচনে প্রার্থীই ছিলেন দুই লাখ ৪৫ হাজার। প্রেসিডেন্ট ও ভাইস-প্রেসিডেন্টের দুটি পদসহ পার্লামেন্টের উচ্চকক্ষের ১৩৬টি সদস্য পদে এবং নিম্নকক্ষের ৫৭৫টি পদের জন্য ভোট হয়। একইসঙ্গে দুই হাজার ২০৭ জন প্রাদেশিক সদস্য এবং ১৭ হাজার ৬১০ জন স্থানীয় কাউন্সিলর পদেও ভোট হয় ১৭ এপ্রিল। ১৬টি রাজনৈতিক দল এ নির্বাচনে অংশ নেয়।