এবার মধ্যপ্রাচ্যে ক্ষেপণাস্ত্র ও রণতরী পাঠাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র
পরমাণু চুক্তি নিয়ে ইরানের সঙ্গে চলমান উত্তেজনার মাঝেই মধ্যপ্রাচ্যে আকাশ ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ও রণতরী পাঠাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। ইউএসএস আর্লিংটন নামে রণতরীটি বিমান ও যুদ্ধযান বহনে সক্ষম।
পেন্টাগন জানায়, মধ্যপ্রাচ্যে মার্কিন বাহিনীর ওপর ইরানের সম্ভাব্য হামলার মোকাবিলায় এ পদক্ষেপ নিয়েছে তারা। এসব হুঙ্কারের পরেও ওয়াশিংটনের সঙ্গে কোনো সমঝোতায় যাওয়ার কথা নাকচ করে দিয়েছে তেহরান।
২০১৫ সালে ইরানের সঙ্গে ছয় পরাশক্তির সম্পাদিত পরমাণু চুক্তি থেকে বেরিয়ে গেছে যুক্তরাষ্ট্র। এরপর থেকেই নানাভাবে ইরানের ওপর চাপ প্রয়োগ করে আসছে তারা। শুরুতে ইরানের তেল রপ্তানির ওপর নিষেধাজ্ঞা, পরে হরমুজ প্রণালী নিয়ে বিরোধ; সব মিলিয়ে ইরানের সঙ্গে উত্তেজনার পারদ বাড়িয়েই চলেছে ওয়াশিংটন।
মধ্যপ্রাচ্যে আবার একটি যুদ্ধের হুঙ্কার দিয়ে সাজানো হচ্ছে রণতরী ও প্যাট্রিয়ট ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা। মধ্যপ্রাচ্যের অনেক দেশের সঙ্গে বন্ধুত্ব থাকায়, চারদিক থেকে ইরানকে ঘিরে ফেলার চেষ্টা চালাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র।
যুক্তরাষ্ট্রের প্যাট্রিয়ট ক্ষেপণাস্ত্রের ব্যাটারি। ছবি : সংগৃহীত
এরই মধ্যে মধ্যপ্রাচ্যে রণতরী আব্রাহাম লিংকন মোতায়েন করেছে যুক্তরাষ্ট্র। রণতরীটি মিশরের সুয়েজ খাল পেরিয়েছে বলে দাবি করেছে মার্কিন সেন্ট্রাল কমান্ড। উভচর যান ও উড়োজাহাজ পরিবহনে সক্ষম ইউএসএস আর্লিংটন শিগগিরই উপসাগরে থাকা অপর রণতরী আব্রাহাম লিংকনের সঙ্গে যোগ দেবে বলে জানায় পেন্টাগন।
মধ্যপ্রাচ্যে মার্কিন বাহিনীর ওপর ইরানের সম্ভাব্য হামলার হুমকি মোকাবেলায় এসব পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে বলে দাবি করেছে মার্কিন প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়।
অন্যদিকে ইরান তাদের দিক থেকে হুমকির বিষয়টিকে ‘বাজে কথা’ বলে উড়িয়ে দিয়েছে। শিয়া সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশটিতে হস্তক্ষেপের লক্ষ্যে মনস্তাত্ত্বিক যুদ্ধ চালাতেই ওয়াশিংটন মধ্যপ্রাচ্যে একের পর এক অস্ত্র ও যুদ্ধজাহাজ মোতায়েন করছে বলে অভিযোগ তেহরানের।
আর ইরানের শক্তিধর রেভল্যুশনারি গার্ড আলাদা করে বলে দিয়েছে, ওয়াশিংটনের সঙ্গে কোনো সমঝোতায় যাবে না তেহরান। এমনকি মাত্র একটি ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে মার্কিন নৌবহরকে ধ্বংস করে দেওয়ার হুঙ্কার দিয়েছে তারা।