স্পন্সর ছাড়াই গ্রিনকার্ড দেবে সৌদি আরব
সৌদি আরবে বসবাসরত বাংলাদেশিসহ অন্যান্য প্রবাসীদের ওপর চরম কড়াকড়ি আরোপের মধ্যেই নতুন ঘোষণা দিল সৌদি সরকার। দেশটিতে বিদেশিদের স্থায়ীভাবে বসবাস (পারমানেন্ট রেসিডেন্সি) পেতে গ্রিনকার্ড চালু করার পরিকল্পনা অনুমোদন দিল সৌদি সরকার।
আজ বুধবার দেশটির শুরা কাউন্সিল এমন একটি পরিকল্পনা অনুমোদন দিয়েছে। স্পন্সর ছাড়া যেখানে থাকাটা প্রবাসীদের জন্য দুঃসাধ্য, সেখানে এমন সুযোগের ঘোষণায় প্রবাসীরা নতুনভাবে আশা দেখছেন।
‘প্রিভিলেজড আকামা’ নামের এই গ্রিনকার্ডের খসড়া চূড়ান্ত করা হয়েছে। মূলত বিদেশি উদ্যোক্তা ও বিনিয়োগকারীদের আকৃষ্ট করতে এটি করছে সৌদি সরকার। সৌদি আরবের রিয়াদ ভিত্তিক সংবাদপত্র আরব নিউজের এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এ পরিকল্পনার অধীনে বিদেশি দক্ষ অভিবাসীরা এবং পুঁজির মালিকরা সুবিধা ভোগ করতে পারবেন। বিদ্যমান আকামা ব্যবস্থায় আবাসিক অনুমোদন বা রেসিডেন্সি পারমিটের জন্য প্রয়োজন হতো একজন সৌদি স্পন্সর অথবা নিয়োগকর্তার। কিন্তু নতুন ব্যবস্থায় তা আর দরকার হবে না। এ ক্ষেত্রে এসব উদ্যোক্তা ও পুঁজির মালিকরা যেসব সুবিধা পাবেন তার মধ্যে শ্রমিক নিয়োগের ক্ষমতা অন্যতম। সম্পদের ও পরিবহনের মালিক হতে পারবেন তারা।
এর মাধ্যমে বাণিজ্যিক, শিল্প ও বেসরকারি খাতে কর্মসংস্থান বাড়বে বলে আশা সৌদি সরকারের।
সৌদি আরবের অভ্যন্তরে মুক্তভাবে চলাচল এবং যেকোনো সময় দেশত্যাগ করতে পারবেন তারা। তবে এই সিস্টেমে গ্যারান্টি হিসেবে সুনির্দিষ্ট ফি থাকবে। ওই ফি দুই ক্যাটাগরির হবে বলে জানা গেছে। তা হলো সম্প্রসারিত আকামা ও অস্থায়ী আকামা।
এই গ্রিনকার্ড পেতে বৈধ অভিবাসীর একটি ব্যাংকে ভালো পরিমাণ অর্থ, সুস্বাস্থ্য বিষয়ক রিপোর্ট ও বৈধ পাসপোর্ট থাকতে হবে এবং কোনো ফৌজদারি অপরাধের রেকর্ড থাকা যাবে না।
গত মাসে সৌদি আরবের শ্রম মন্ত্রণালয় ও সমাজ উন্নয়ন বিষয়ক বিভাগ ঘোষণা করে, তারা গোল্ড কার্ড ইস্যুটিকে সম্প্রসারিত করে আবাসিক প্রোগ্রামের আওতায় নিয়ে আসবে। এজন্য কনসালট্যান্টস ও এজেন্সিগুলোকে এ ক্ষেত্রে সুবিধাভোগীর প্রণোদনার সম্ভাব্য বিষয়গুলোকে বিশ্লেষণ করার আহ্বান জানানো হয়।
গোল্ড কার্ড কর্মসূচি হলো ‘কোয়ালিটি অব লাইফ প্রোগ্রাম ২০২০’-এর অংশ। ২০১৮ সালে সৌদি কাউন্সিল অব ইকোনমিক অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট অ্যাফেয়ার্স এটি চালু করে।