পাকিস্তানে শিশুদের মধ্যে ছড়িয়ে পড়েছে এইচআইভি ভাইরাস
পরীক্ষা করা হচ্ছে শিশুদের শরীরে এইচআইভি ভাইরাস আছে কি না। আর বাবা-মা আতঙ্কের মধ্যে সময় পার করছেন ফল জানার জন্য। সেখানে কয়েকশজন এইচআইভি পজিটিভ হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে, যাদের অধিকাংশই শিশু এবং বয়স অনেকের পাঁচের কম। ঘটনাটি ঘটেছে পাকিস্তানের দক্ষিণাঞ্চলের সিন্ধু প্রদেশে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, অস্বাস্থ্যকর চিকিৎসার উপকরণ, যেমন—নোংরা সিরিঞ্জ, অস্বাস্থ্যকর রক্তের ব্যাগ ব্যবহার, অনিরাপদ রক্তদান ও রক্ত গ্রহণ এবং হাতুড়ে চিকিৎসকের দ্বারস্থ হওয়ার কারণে এই ভয়াবহ ঘটনা ঘটেছে।
স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মকর্তারা বলছেন, গত কয়েক সপ্তাহে কয়েকশ ব্যক্তিকে এইচআইভি পজিটিভ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। তাদের মধ্যে বেশিরভাগই শিশু। সিজার থেকে শুরু করে বিভিন্ন অপারেশনের সময় অস্বাস্থ্যকর চিকিৎসার উপকরণ ব্যবহার এবং হাতুড়ে চিকিৎসকের অদক্ষতার কারণে এ ধরনের ঘটনা ঘটেছে।
পাকিস্তানের প্রত্যন্ত অঞ্চলের জনগণ অসুখ হলে হাতুড়ে চিকিৎসকের দ্বারস্থ হয়। এর প্রধান কারণ এতে তাঁদের খরচ কম হয় এবং তাঁরা সেই চিকিৎসকদের সহজে হাতের কাছে পায়। আর এই হাতুড়ে চিকিৎসকদের অযোগ্যতার কারণে এইচাইভির মতো রোগ ছড়াচ্ছে।
এ ব্যাপারে প্রশ্ন করা হলে ডা. আসাদ মোমেন বলেন, ‘আমি মনে করি এইচআইভি ছড়ানোর পেছনে রূপান্তরিত নারী বা পুরুষ এবং যৌনকর্মীদের দায় থাকতে পারে।’
এখনো বহু মানুষ তাঁদের সন্তানদের এইচআইভি পরীক্ষার জন্য বিভিন্ন পরীক্ষা কেন্দ্রে নিয়ে যাচ্ছেন। শিশুদের শরীরে এইচআইভি ভাইরাসের উপস্থিতির ঘটনায় ক্ষুব্ধ হয়ে উঠেছে এলাকাবাসী। তবে বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, চিকিৎসার উপকরণের ঘাটতির কারণে স্থানীয় স্বাস্থ্যসেবাকেন্দ্রগুলোতে একই সিরিঞ্জ কিংবা ছুরি-কাঁচি বহুবার ব্যবহার করতে হয়। ফলে এ ধরনের ঘটনা ঘটেছে।
হাসপাতালের বাইরে শিশুকে নিয়ে অপেক্ষমাণ আজাদ জানান, এইচআইভি পরীক্ষার আগেই তার শঙ্কা হচ্ছে, মেয়ে হয়তো পজিটিভ। সে কারণে তিনি অনেকটাই মুষড়ে পড়েছেন।
তিন দিন আগে জানা গেছে, নিসার আহমেদের এক বছরের মেয়ে এইচআইভি পজিটিভ। তিনি বলেন, যে ডাক্তারের জন্য এ ঘটনা ঘটেছে, তাকে অভিশাপ দিচ্ছি।
নিজের পাঁচ সন্তানকে পরীক্ষা করানোর পর ছোটজনের শরীরের এইচআইভি ধরা পড়েছে ইমাম জাদির।