নরেন্দ্র মোদিকে স্বাগত জানাতে ২০ হাজার কর্মীকে আমন্ত্রণ
ভারতের লোকসভা নির্বাচনে বিজয়ী হয়ে সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে ক্ষমতায় ফেরার ব্যাপারে আত্মবিশ্বাসী ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজেপি) তাদের ২০ হাজার কর্মীকে আজ সন্ধ্যায় নয়াদিল্লিতে পার্টির সদর দপ্তরে আমন্ত্রণ জানিয়েছে।
দলীয় নেতারা জানান, এই বৃহৎ সমাবেশের পরিকল্পনা করা হয়েছে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে ‘মহাস্বাগতম' জানানোর জন্য। দলের পক্ষে সব বিজয়ী প্রার্থীকে ২৫ মের মধ্যে নয়াদিল্লিতে আসতে বলে দেওয়া হয়েছে।
এক্সিট পোলের হিসাব অনুযায়ী, বিজেপি নেতৃত্বাধীন এনডিএ ৫৪৩ লোকসভার আসনের মধ্যে তিনশরও বেশি আসন নিয়ে জয়ী হবে এবারের নির্বাচনে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি জানিয়েছেন, তাঁর দল পাঁচ বছর ক্ষমতায় থাকার পরে ঐতিহাসিকভাবে দ্বিতীয় পর্যায়ে ক্ষমতায় আসতে চলেছে পূর্ণ সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে।
এদিকে, ভারতের সপ্তদশ লোকসভা নির্বাচনে ফল ঘোষণার শুরুর আড়াই ঘণ্টার মধ্যেই ক্ষমতাসীন ভারতীয় জনতা পার্টির (বিজেপি) বেশ বড় ব্যবধানে এগিয়ে থাকার আভাস মিলেছে।
আজ বৃহস্পতিবার সকাল ৮টা থেকে শুরু হয়েছে লোকসভা নির্বাচনের ভোট গণনা ও ফল প্রকাশ। ভোট গ্রহণ শেষে বুথফেরত জরিপ আভাস দিয়েছিল, দিল্লির ক্ষমতা ফের বিজেপির হাতেই যাচ্ছে। আর ভোট গণনার আড়াই ঘণ্টার মাথায় বিভিন্ন কেন্দ্রের ঘোষিত ফল বলছে, ৩২৩টি আসনে এগিয়ে আছে ক্ষমতাসীন বিজেপি নেতৃত্বাধীন জোট এনডিএ।
এর মধ্যে অন্যতম চমক হলো মধ্যপ্রদেশে বিজেপির এগিয়ে যাওয়া। গত নির্বাচনে যেখানে হেরে গিয়েছিল বিজেপি, এবার সেখানে বিজেপি এগিয়ে আছে প্রদেশের ২০টি আসনে। পশ্চিমবঙ্গেও বিজেপির ভালো করার ইঙ্গিত মিলেছে। যদিও সেখানে এগিয়ে রয়েছে রাজ্যে ক্ষমতাসীন তৃণমূল কংগ্রেস। এ ছাড়া মহারাষ্ট্রে এগিয়ে আছে শিবসেনা-বিজেপি জোট।
লোকসভার মোট ৫৪৩টি আসনের মধ্যে এবার ৫৪২টিতে ভোট হয়েছে। নির্বাচন কমিশনের নির্দেশে তামিলনাড়ু রাজ্যের একটি আসনে এবার ভোট হয়নি। একক সংখ্যাগরিষ্ঠ পেতে গেলে কোনো দল বা জোটকে ম্যাজিক সংখ্যা ২৭২টি আসন পেতে হবে।
বিজেপির বড় নেতাদের মধ্যে বরুণ গান্ধী, অমিত শাহ, রাজনাথ কিরণ খের, জয়ন্ত সিনহাসহ আরো অনেকেই নিজ আসনে এগিয়ে আছেন। আবার আমেথিতে কংগ্রেসের রাহুল গান্ধী ও বিজেপির স্মৃতি ইরানির মধ্যে চলছে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই।
গত ১৯ মে সাত ধাপে ভারতের ১৭তম লোকসভা নির্বাচনের ভোট গ্রহণ শেষ হয়। ওই দিন সন্ধ্যা থেকেই বিভিন্ন জরিপ সংস্থা বুথফেরত ফল প্রকাশ করতে থাকে। অধিকাংশ জরিপেই আভাস মিলেছে, দিল্লির ক্ষমতা ফের বিজেপির হাতে যাচ্ছে। তবে কংগ্রেসের পক্ষ থেকে কর্মীদের বলা হয়েছে, এ ধরনের জরিপে তাঁরা যেন হতাশ না হন।