ঘোষিত হলো জম্মু-কাশ্মীরে চাঞ্চল্যকর শিশু গণধর্ষণ মামলার রায়
ভারতের জম্মু-কাশ্মীরে আট বছরের এক শিশুকে গণধর্ষণের মামলার রায় আজ সোমবার ঘোষণা করেছে পাঠানকোট আদালত। জম্মু-কাশ্মীরের কাঠুয়ায় নাবালিকাকে ধর্ষণ করে খুনের ঘটনায় পাঁচজনকে দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে। ধর্ষণের সঙ্গে জড়িত থাকায় আটক সাতজন অভিযুক্তের মধ্যে পাঁচজনকে দোষী সাব্যস্ত করেছেন আদালত। এ ঘটনায় আরেকজনকে বেকসুর খালাস দেন আদালত।
পাঠানকোটের বিশেষ আদালতে আজ সোমবার ঘোষিত রায়ে একটি মন্দিরের পুরোহিত তথা মূল আসামী সঞ্জি রামসহ পাঁচজন পুলিশ সদস্যকে— দীপক খাজুরিয়া, সুরেন্দর ভার্মা পরবেশ কুমার, আনন্দ দত্ত ও তিলক রাজ—দোষী সাব্যস্ত করা হয়।
উল্লেখ্য, ওই মামলার অন্যতম অভিযুক্ত সঞ্জি রামের ছেলে বিশালকে বেকসুর খালাস দেওয়া হয়। অভিযুক্তদের অপহরণ, ধর্ষণসহ একাধিক ধারায় দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে। গত ৩ জুন সাক্ষ্য প্রমাণের কাজ শেষ হয়। আর তা শেষ হওয়ার ১৭ মাসের মধ্যে রায় ঘোষণা করলেন আদালত। সোমবার চূড়ান্ত রায় দেওয়ার কথা জানান বিচারক তেজবিন্দর সিং।
গত বছরের ১০ জানুয়ারি কাঠুয়ায় আট বছরের শিশু আসিফাকে অপহরণ ও গণধর্ষণের অভিযোগ ওঠে। অপহরণের তিন দিন পর শিশুটিকে হত্যা করা হয়। এরপর ১৭ জানুয়ারি একটি জঙ্গলের ভেতর থেকে ওই শিশুর মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করে পুলিশ। অভিযুক্তদের শাস্তির দাবিতে উত্তাল হয়ে ওঠে কাঠুয়া উপত্যকা।
স্থানীয় জনগণ প্রতিবাদ করতে গেলে পুলিশ প্রমাণ নষ্ট করার চেষ্টা করে বলেও অভিযোগ ওঠে। ফরেনসিক প্রতিবেদনে উঠে আসে চাঞ্চল্যকরসব তথ্য। জানা যায়, ধর্ষণ করে হত্যার আগে প্রচুর পরিমাণে মাদক দেওয়া হয়েছিল শিশুটিকে। ফরেনসিক বিশেষজ্ঞরা বলেন, মেরে ফেলার আগেই হয়ত কমায় চলে গিয়েছিল শিশুটি।
চাপের মুখে তৎকালীন স্থানীয় সরকার বিশেষ আদালতে মামলার শুনানির নির্দেশ দেয়। যত দ্রুত সম্ভবত মামলার নিষ্পত্তি করার নির্দেশ দেন তৎকালীন জম্মু-কাশ্মীরের মুখ্যমন্ত্রী। দীর্ঘ ১৭ মাস ধরে চলে মামলার শুনানি। আজ সোমবার শুনানি শেষে রায় ঘোষণা করলেন আদালত। কাঠুয়া মামলার রায় ঘোষণা উপলক্ষে আদালতের বাইরে বিশাল পুলিশবাহিনী মোতায়েন করা হয়।