এবার কে হবেন কংগ্রেসের সভাপতি?
ভারতের জাতীয় কংগ্রেসের সভাপতির পদ থেকে রাহুল গান্ধীর পদত্যাগের পর সভাপতির আসনে কে বসবেন, তা নিয়ে চলছে নানা জল্পনা-কল্পনা।
ভারতের সব রাজনৈতিক মহলের নজর এখন কংগ্রেসের দিকে। কংগ্রেসের পরবর্তী প্রধান হিসেবে এরইমধ্যে উঠে এসেছে বেশ কিছু নাম। যাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য মহারাষ্ট্রের দুঁদে কংগ্রেস নেতা তথা মনমোহন সরকারের সময়ের কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সুশীল কুমার শিল্ডে। তাঁকে ঘিরেই বারবার উঠে আসছে পরবর্তী কংগ্রেস সভাপতি হওয়ার সম্ভাবনা।
এরপরেই উঠে আসছে কংগ্রেসের এক সময়ের সংসদীয় দলের নেতা মল্লিকার্জুন খার্গের নাম। রাজনীতির অঙ্গণে তিনি বরাবরই গান্ধী পরিবারের অন্যতম ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত। কংগ্রেসের কঠিন সময়ে তিনি বিজেপির বিরুদ্ধে লড়েছেন বলে দলে যথেষ্ট সমাদর রয়েছে তাঁর।
এ ছাড়াও রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলোটও কংগ্রেসের সভাপতি হতে পারেন বলে গুঞ্জন চলছে। বর্ষীয়ান এই নেতা চিরকালই গান্ধী পরিবারের ঘনিষ্ঠ ছিলেন।
কংগ্রেস সভাপতি হওয়ার দৌড়ে এগিয়ে রয়েছেন কংগ্রেসের রাজ্যসভার নেতা গুলাম নবি আজাদও। এক সময় কংগ্রেসের কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ছিলেন এই নেতা।
রাজস্থানের তরুণ তুর্কী শচীন পাইলটও রয়েছেন সভাপতি হওয়ার দৌড়ে। অনেকেই চান, কংগ্রেসের এই নেতা সভাপতির আসনে বসুক। এদিকে বর্ষীয়ান নেতাদের সরিয়ে কোনো তরুণকে কংগ্রেস সভাপতির পদে বসিয়ে কংগ্রেস এগিয়ে যাবে কি না, তা নিয়েও রয়েছে বিতর্ক।
তবে, গান্ধী পরিবারের পরিবারতন্ত্র তকমার অবসান চেয়েছেন রাহুল। কিন্ত তাঁর বোন প্রিয়াঙ্কা সপ্তদশ লোকসভা ভোটের আঙিনায় যেভাবে জনপ্রিয়তা কুড়িয়ে নিয়েছেন, তাতে অনেকেই মনে করছেন, এত সহজে পরিবারতন্ত্র মিটবে না কংগ্রেসের রাজনীতিতে। সেক্ষেত্রে কংগ্রেসের সভাপতির পদে প্রিয়াঙ্কা গান্ধীর নামও বাদ যাচ্ছে না সম্ভাব্যের তালিকা থেকে।
এ ছাড়াও কংগ্রেসের সভাপতির দৌড়ে রয়েছেন কংগ্রেসের দক্ষিণের দাপুটে নেতা এ কে অ্যান্টনি। রয়েছেন শশী থরুর, তরুণ তুর্কী কেসি বেণুগোপাল। এ ছাড়াও ৯০ বছরের বর্ষীয়াণ নেতা মোতিলাল ভোরাও রয়েছেন কংগ্রেস সভাপতি হওয়ার দৌড়ে।