ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর ওপর মার্কিন নিষেধাজ্ঞা
ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোহাম্মাদ জাভেদ জারিফের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে যুক্তরাষ্ট্রের অর্থ মন্ত্রণালয়।
মার্কিন অর্থ মন্ত্রণালয় স্থানীয় সময় বুধবার ইরানি পররাষ্ট্রমন্ত্রীর নামকে নিষেধাজ্ঞার আওতাভুক্ত ব্যক্তিদের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করে। মার্কিন অর্থমন্ত্রী স্টিফেন মানুচিন ওয়াশিংটনে এ নিষেধাজ্ঞা আরোপের ঘোষণা দেন বলে বিবিসির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।
মার্কিন অর্থ মন্ত্রণালয়ের নিষেধাজ্ঞায় বলা হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রে থাকা এবং যুক্তরাষ্ট্রের কোনো সংস্থার অধীনে থাকা জাভেদ জারিফের যেকোনো সম্পদ বাজেয়াপ্ত করা হবে।
নিষেধাজ্ঞা আরোপের বিষয়ে মার্কিন অর্থমন্ত্রী স্টিভেন মানুচিন বলেন, ‘জাভেদ জারিফ ইরানের সর্বোচ্চ নেতার (আয়াতুল্লাহ আলি খামেনি) বেপরোয়া এজেন্ডা বাস্তবায়ন করছেন।’
মাইক্রো-ব্লগিং সাইট টুইটারে মার্কিন নিষেধাজ্ঞার প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন জাভেদ জারিফ। ইরানি পররাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, যুক্তরাষ্ট্র তাঁকে হুমকি বলে মনে করে বলেই এ নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে।
ইরানি পররাষ্ট্রমন্ত্রী টুইটে আরো লেখেন, ‘আমি ইরানের মুখপাত্র হওয়ার কারণে যুক্তরাষ্ট্র আমাকে নিষেধাজ্ঞা দিল। এ সত্যটি কি বাস্তবিকই এতটা যন্ত্রণাদায়ক?’
যুক্তরাষ্ট্রে তাঁর বা তাঁর পরিবারের কোনো সম্পদ নেই, তাই মার্কিন নিষেধাজ্ঞায় কোনো ক্ষতি হবে না বলেও জানান জারিফ।
পাশাপাশি তাঁকে ‘এত বড় হুমকি হিসেবে গণ্য করায়’ যুক্তরাষ্ট্রকে উপহাস করতেও ছাড়েননি ইরানি পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
The US' reason for designating me is that I am Iran's "primary spokesperson around the world"
Is the truth really that painful?
It has no effect on me or my family, as I have no property or interests outside of Iran.
Thank you for considering me such a huge threat to your agenda.— Javad Zarif (@JZarif) July 31, 2019
টুইটে জারিফ লেখেন, ‘আপনাদের এজেন্ডা বাস্তবায়নের পথে আমাকে এত বড় হুমকি হিসেবে গণ্য করার জন্য ধন্যবাদ।’
ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে ইরানের সঠিক ইতিহাস জানার আহ্বান জানানোর একদিন পরই নিষেধাজ্ঞার সম্মুখীন হলেন।
পার্স টুডের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, এর আগে গত মাসের গোড়ার দিকে ওয়াশিংটন জারিফের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপের হুমকি দিলে ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কিন দৈনিক নিউইয়র্ক টাইমসকে বলেছিলেন, তাঁর ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হলে তিনি কোনোভাবেই ক্ষতিগ্রস্ত হবেন না। তিনি আরো বলেছিলেন, ইরানের বাইরে তাঁর কোনো ব্যাংক অ্যাকাউন্ট বা সম্পদ নেই এবং ইরানই তাঁর জীবনের সবকিছু।
জাভেদ জারিফ আরো বলেছিলেন, তাঁর ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করার একমাত্র উদ্দেশ্য হবে বহির্বিশ্বের সঙ্গে ইরানের যোগাযোগ সীমিত করে দেওয়া।