লোকসভা ও রাজ্যসভার পর তাৎক্ষণিক তিন তালাক বিলে সম্মতি দিয়েছেন ভারতের রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ। গতকাল বুধবার রাতে তিনি এই বিল আইনে পরিণত হওয়ার ক্ষেত্রে সম্মতি দেন বলে জানা গেছে।

রাষ্ট্রপতির সম্মতির সঙ্গে সঙ্গেই তাৎক্ষণিক তিন তালাক বিলটি আইনে পরিণত হওয়ার ক্ষেত্রে সমস্ত বাধা উঠে গেল। এর ফলে ভারতে কোনো মুসলমান পুরুষ তাঁর স্ত্রীকে তিন তালাক দিলে সেই অভিযোগ প্রমাণ হলে তাঁকে জেল খাটতে হবে। এই আইনে ভারতের মাটিতে সর্বোচ্চ তিন বছরের সাজা নির্ধারণ করা হয়েছে।

বিতর্কিত এই তিন তালাক বিলটি নিয়ে বেশ কিছুদিন ধরেই ভারতীয় সংসদ উত্তাল হয়ে ছিল। প্রথমবার নরেন্দ্র মোদি সরকার ক্ষমতায় এসে তাৎক্ষণিক তিন তালাক বিলটি লোকসভায় পাস করে। তবে তা পরে রাজ্যসভায় আটকে যায়। কারণ সে সময় রাজ্যসভায় বিরোধীরা শক্তিশালী ছিল, যা নিয়ে আদালতে মামলাও হয়। সে মামলায় ভারতের সর্বোচ্চ আদালত পুনরায় এই তিন তালাক বিলটি সংশোধন করে সংসদে পাস করাতে বলেন।

তারপর ভারতে দ্বিতীয়বার কেন্দ্রে ক্ষমতায় এসেই লোকসভায় সংখ্যাগরিষ্ঠতার জোরে তাৎক্ষণিক তিন তালাক বিলটি পাস করে নরেন্দ্র মোদি সরকার। তবে রাজ্যসভায় বিলটি পাসের ক্ষেত্রে কিছুটা সংশয় থাকলেও কৌশলে রাজ্যসভায় বিলটি পাস করিয়ে নেয় মোদি সরকার। এরপর বিলটি রাষ্ট্রপতির অনুমোদনের জন্য পাঠানো হয়।

গতকাল বুধবার রাতে ভারতের রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ এই তাৎক্ষণিক তিন তালাক বিলে সম্মতি দেওয়ায় ভারতের মাটিতে তিন তালাক বিল আইনে পরিণত হলো।