দেড় লাখ পুলিশের পাহারায় কাশ্মীরে স্বাধীনতা দিবস
আজ বৃহস্পতিবার ভারতের ৭৩তম স্বাধীনতা দিবস। দিনটি উদযাপনের জন্য প্রস্তুত করা হয়েছে জম্মু-কাশ্মীরকেও। ভারতীয় সংবিধানের ৩৭০ অনুচ্ছেদ প্রত্যাহার করে রাজ্যের ‘বিশেষ মর্যাদা’ বিলোপের পর এটিই জম্মু-কাশ্মীরে প্রথম স্বাধীনতা দিবস। দিনটি উপলক্ষে কড়া নিরাপত্তার চাদরে ঢাকা হয়েছে জম্মু-কাশ্মীরকে। আধাসামরিক ও রাজ্য পুলিশ মিলিয়ে কাশ্মীর উপত্যকায় প্রায় দেড় লাখ পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। গত ৪ আগস্ট থেকেই জম্মু-কাশ্মীরকে কড়া পাহারায় রাখা হয়। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানানো হয়।
জম্মু ও কাশ্মীরের নিরাপত্তা অভিযানের সঙ্গে জড়িত এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেছেন, ‘আমরা পাকিস্তান থেকে ক্রমাগত সন্ত্রাসী হামলা ও বিশৃঙ্খলায় মদদ দেওয়ার মতো নানা কথা শুনতে পাচ্ছি। তাই আগামী ২৪ ঘণ্টা নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদারের বিষয়টি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।’
তিনি আরো জানান, ঊর্ধ্বতন সরকারি কর্মকর্তারা আগামী ৪৮ ঘণ্টা উপত্যকার বিভিন্ন চিহ্নিত এলাকায় টহল দেবেন। রাজ্যের প্রতিটি জেলায় স্বাধীনতা দিবস উদযাপনের ব্যবস্থা করা হয়েছে। কাশ্মীর উপত্যকার ১৩টি জেলায় রাজ্য প্রশাসন বিশেষ প্রস্তুতি নিয়েছে।
ভারতীয় নিরাপত্তা বাহিনীর দাবি, এ বছরের প্রথম সাত মাসে ভারতের উপকূলীয় অঞ্চলে ১৪২ জনেরও বেশি সন্ত্রাসবাদীকে নির্মূল করা হয়েছে। কিন্তু ৩৭০ অনুচ্ছেদ প্রত্যাহার করার পর ৫ আগস্ট থেকে এ ধরনের কোনো পরিস্থিতি তৈরি হয়নি।
জম্মু-কাশ্মীরে নিয়োজিত এক নিরাপত্তা কর্মকর্তা জানান, ১০ দিন জম্মু-কাশ্মীরে কোনো সংঘর্ষ হয়নি। পুরো রাজ্যে আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণ করার জন্য তৎপর রয়েছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।
একজন প্রবীণ কর্মকর্তা বলেছেন, ‘রাজ্যটি এ সময়ের সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি রয়েছে। আমাদের কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থার কারণে কেবল ক্ষতিই রোধ করতে সক্ষম হইনি, রাস্তায় নেমে জোরদার বিক্ষোভও আটকাতে পেরেছি।’
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে জম্মু-কাশ্মীরের প্রায় সব নেতাকেই শ্রীনগরের একটি পাঁচতারকা হোটেলে আটক করে রাখা হয়েছে। এ ছাড়া রাজ্যের বাইরেও আটক করে রাখা হয়েছে কিছু রাজনৈতিক নেতাকে।