পাক-ভারত শূন্যরেখায় গোলাগুলি, দুই দেশের ‘আট’ সেনা নিহত
ভারতের স্বাধীনতা দিবসে আজ বৃহস্পতিবার সীমান্তের শূন্যরেখায় পাকিস্তানের সেনাবাহিনীর সঙ্গে গোলাগুলি হয়েছে। এ সময় ভারতীয় সেনাবাহিনীর গুলিতে পাকিস্তানের তিন সেনা সদস্য নিহত হয়েছেন। অন্যদিকে পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর গুলিতে ভারতের পাঁচ সেনা নিহত হয়েছে।
আজ বৃহস্পতিবার পাকিস্তানের আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তরের (আইএসপিআর) প্রধান আসিফ গফুর এক টুইটে এই দাবি করেন। পাকিস্তানি গণমাধ্যম ডন এ খবর দিয়েছে।
এখনো সীমান্তে গোলাগুলি চলছে দাবি করে আসিফ গফুর বলেন, ভারতীয় সেনাদের গুলিতে পাকিস্তানি তিন সেনা নিহতের জবাবে পাঁচ ভারতীয় সেনাকেও হত্যা করা হয়েছে। ভারতীয় বাংকার ধ্বংস করা হয়েছে।
আসিফ গফুর বলেন, ভারত নিয়ন্ত্রিত জম্মু ও কাশ্মীরের নাজুক অবস্থার দিক থেকে দৃষ্টি ফেরাতে ইদানীং শূন্যরেখায় বেশি বেশি গোলাগুলি করছেন ভারতীয় সেনারা।
আসিফ গফুরের টুইটে জানানো হয়, প্রাণ হারানো তিন পাকিস্তানি সেনা হলেন নায়েক তানভীর, ল্যান্স নায়েক তৈমুর ও সিপাহি রমজান।
In efforts to divert attention from precarious situation in IOJ&K,Indian Army increases firing along LOC.
3 Pakistani soldiers embraced shahadat. Pakistan Army responded effectively. 5 Indian soldiers killed, many injured, bunkers damaged. Intermittent exchange of fire continues. pic.twitter.com/wx1RoYdiKE— DG ISPR (@OfficialDGISPR) August 15, 2019
ভারতের স্বাধীনতা দিবস ১৫ আগস্টে কাশ্মীরে নাজুক পরিস্থিতি নিয়ে কালো দিবস পালন করছে পাকিস্তান। এমন সময়ে ভারতীয় সেনাদের আক্রমণে পাকিস্তানি সেনা নিহতের ঘটনাকে কিভাবে নেয় পাক সরকার, সেটাই এখন দেখার বিষয়।
গত ৪ আগস্ট থেকে ভারতীয় সামরিক বাহিনীর নজিরবিহীন কড়া নিয়ন্ত্রণের মধ্যে রয়েছে জম্মু ও কাশ্মীর। পরদিন ৫ আগস্ট ভারতীয় সংসদে সংবিধান থেকে ৩৭০ অনুচ্ছেদ বাতিল করে বিল পাস হয়। এর ফলে কাশ্মীরিরা তাদের স্বায়ত্তশাসনের অধিকার থেকে বঞ্চিত হয়েছে। ভারতীয় সংবিধান থেকে কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়। এ উপলক্ষে সেখানে ইন্টারনেট ও মোবাইল নেটওয়ার্ক সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেয় ভারত সরকার। দুইজন সাবেক মুখ্যমন্ত্রী মেহবুবা মুফতি ও ওমর আব্দুল্লাহসহ কয়েকশ কাশ্মীরি নেতাকর্মীকে আটক করা হয়েছে। বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে ইন্টারনেট ও মোবাইল নেটওয়ার্ক সেবা।