কাশ্মীর ইস্যু নিয়ে এবার আন্তর্জাতিক আদালতের শরণাপন্ন পাকিস্তান
কাশ্মীর ইস্যু নিয়ে পাকিস্তান এবার আন্তর্জাতিক আদালতের কাছে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
পাকিস্তানের একটি টেলিভিশন চ্যানেলকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী শাহ মেহমুদ কুরেশি বলেন, ‘আমরা কাশ্মীর ইস্যু নিয়ে আন্তর্জাতিক ন্যায়বিচার আদালতে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। সব আইনি বিষয় বিবেচনা করেই এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।’
মুসলিম-অধ্যুষিত কাশ্মীরে ভারত মানবাধিকার লঙ্ঘন করছে—এটাই হবে আন্তর্জাতিক ন্যায়বিচার আদালতে পাকিস্তানের মামলার মূল বিষয়, যোগ করেন পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী। ভারত অবশ্য বরাবরই এমন অভিযোগ অস্বীকার করে আসছে। গণমাধ্যম বিবিসি এসব তথ্য জানিয়েছে।
জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে গত ১৬ আগস্ট ভারত অধিকৃত কাশ্মীর পরিস্থিতি নিয়ে রুদ্ধদ্বার বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। চীন ও পাকিস্তানের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে অনুষ্ঠিত এ বৈঠকে জম্মু-কাশ্মীর পরিস্থিতি পর্যালোচনা করেন নিরাপত্তা পরিষদের সদস্য দেশগুলোর প্রতিনিধিরা। তবে ওই আলোচনায় তেমন কোনো ফল আসেনি। জাতিসংঘের একজন কূটনীতিকের বরাত দিয়ে গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হয়, বৈঠকের পর কাশ্মীর ইস্যুতে গণমাধ্যমকে জাতিসংঘের পক্ষ থেকে কোনো বিবৃতি দেওয়া হয়নি। নিরাপত্তা পরিষদের বৈঠকের পর গণমাধ্যমে বিবৃতি দেওয়াকে পরিষদের ন্যূনতম কাজ হিসেবে দেখা হয়।
সম্প্রতি ভারতীয় নৌ সেনার সাবেক কর্মকর্তা কুলভূষণ যাদব-সংক্রান্ত মামলায় আন্তর্জাতিক ন্যায়বিচার আদালতে গিয়ে নিজেদের বিপক্ষে ফল পেয়েছিল পাকিস্তান। ভারতের আবেদন মেনে পাকিস্তানের জেলে বন্দি কুলভূষণের মৃত্যুদণ্ডাদেশ স্থগিত করে তাঁর সঙ্গে ভারতীয় দূতাবাসের কর্মকর্তাদের যোগাযোগ করতে দেওয়ার নির্দেশ দেন আন্তর্জাতিক ন্যায়বিচার আদালত।