হত্যাকাণ্ডের ২১ বছর পর মার্কিন নাগরিকের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর
যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাসে উনিশ বছরের এক কিশোরীকে হত্যা মামলায় মৃত্যুদণ্ডাদেশপ্রাপ্ত এক মার্কিন নাগরিকের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়েছে। ল্যারি সোয়ারিনজেন নামের ৪৮ বছর বয়সী ওই ব্যক্তিকে প্রাণঘাতী ইনজেকশন প্রয়োগ করে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়।
১৯৯৮ সালে মেলিসা ট্রোটার নামের এক কিশোরীকে হত্যার অভিযোগ অস্বীকার করে বরাবরই নিজেকে নির্দোষ দাবি করে গেছেন ল্যারি। কর্তৃপক্ষ তাঁর দাবির পক্ষে দেওয়া প্রমাণ উপেক্ষা করেছেন অভিযোগ করে মৃত্যুর আগে ল্যারি বলে যান, ‘ঈশ্বর তাদের ক্ষমা করুন। তারা জানে না কী করছে।’
অন্যদিকে বিচারকরা নিজেদের সিদ্ধান্ত সঠিক দাবি করে জানান, ল্যারিকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়ার মতো ‘পর্বতসম প্রমাণ’ তাঁরা পেয়েছেন।
স্থানীয় সময় গতকাল বুধবার মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হওয়ার আগে গত দুই দশকে পাঁচবার ল্যারি সোয়ারিনজেনের মৃত্যুদণ্ড কার্যকরে স্থগিতাদেশ আসে।
১৯৯৮ সালের ডিসেম্বরে নিখোঁজ হন ম্যালিসা ট্রোটার। এর ২৫ দিন পর টেক্সাসের স্যাম হস্টন ন্যাশনাল ফরেস্টের ঘন জঙ্গল থেকে ওই কিশোরীর মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়। এরপর ২০০০ সালে ট্রোটারকে অপহরণ, ধর্ষণ ও হত্যার দায়ে দণ্ডিত হন ল্যারি সোয়ারিনজেন।
ল্যারির আইনজীবীরা দাবি করেন, ট্রোটারের নখের ভেতর পাওয়া ডিএনএ অন্য কোনো ব্যক্তির প্রমাণিত হওয়ায় এবং অন্যান্য বৈজ্ঞানিক তথ্য ল্যারিকে নির্দোষ প্রমাণ করার জন্য যথেষ্ট।
কিন্তু ল্যারিকে দোষী সাব্যস্ত করার মতো প্রমাণ রয়েছে জানিয়ে বিচারকরা নিজেদের সিদ্ধান্তে অটল থাকেন।
২০১০ সাল থেকে এই মামলার সঙ্গে জড়িত টেক্সাসের সহকারী ডিস্ট্রিক্ট অ্যাটর্নি কেলি ব্ল্যাকবার্ন ল্যারির মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করার আগে ওয়াশিংটন পোস্টকে বলেন, ‘ল্যারি সোয়ারিনজেন যে দোষী, এ ব্যাপারে আমার কোনো সন্দেহ নেই। কোনো নিরপরাধ মানুষকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হচ্ছে না। মেলিসা ট্রোটারকে অপহরণ, ধর্ষণ ও শ্বাসরোধ করে হত্যার অপরাধীর মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হচ্ছে।’