ম্যাক্রোঁর সামনের টেবিলে পা তুলেছিলেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী?
ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁর সঙ্গে সম্প্রতি প্যারিসে সাক্ষাৎকালে যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনের টেবিলে পা তুলে বসার একটি ছবি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তুমুল সমালোচনা চলছে।
তবে গণমাধ্যম বিবিসির মতে, প্রতিবেশী দুই দেশের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহারকারীরা বোধ হয় এ বিষয়ে অগ্রপশ্চাৎ না ভেবেই ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর কাজকে অপমানজনক বলে ঢালাওভাবে সমালোচনা করছেন।
বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া একটি ভিডিও দেখে মনে হচ্ছে, ফরাসি প্রেসিডেন্টের এক কৌতুকের প্রতিক্রিয়া দেখাচ্ছেন বরিস জনসন। এ সময় ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ বরিস জনসনকে সামনে রাখা টেবিলটি পাদানি হিসেবে ব্যবহার করার পরামর্শ দেন বলে মনে হচ্ছে।
বরিস জনসনের আচরণকে অভব্য মন্তব্য করে এক ব্রিটিশ নাগরিক সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে লেখেন, ‘কল্পনা করুন, বাকিংহাম প্রাসাদে কোনো বিদেশি পররাষ্ট্রমন্ত্রী যদি এমন কাজ করতেন, তাহলে ব্রিটিশ ট্যাবলয়েডগুলো তাঁর কী হাল করত!’
আরেকজন লেখেন, ‘পরিষ্কার বোঝা যাচ্ছে, তারা এটনে ভব্যতা শেখাচ্ছেন না।’
ফরাসিরাও বরিস জনসনের সমালোচনায় মুখর হয়েছেন। একজন লেখেন, ‘ব্রিটিশ জাত, বোজো [বরিস জনসন] স্টাইল’, আরেকজন লেখেন, ‘আমি ভাবছি রানি এটাকে কীভাবে দেখছেন।’
WATCH: Here’s the Reuters video of Boris Johnson putting his foot on the Elysee furniture. It seems President Macron was making small talk suggesting the table would work equally well as a footstool should the PM want to recline, which Johnson then jokingly does pic.twitter.com/dnv37t9mS4
— Tom Rayner (@RaynerSkyNews) August 22, 2019
যুক্তরাজ্যের সাবেক প্রধানমন্ত্রী টনি ব্লেয়ারের সাবেক জনসংযোগ কর্মকর্তা অ্যালেস্টার ক্যাম্পবেল অবশ্য এ ঘটনাকে নিছক মজার ব্যাপার হিসেবে দেখছেন না।
অ্যালেস্টার ক্যাম্পবেল বলেন, ‘বিব্রতকর ব্যাপারটি হলো জার্মানির চ্যান্সেলর ও ফরাসি প্রেসিডেন্টের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে যুক্তরাজ্যের নবনির্বাচিত প্রধানমন্ত্রী এতটা সময় নিলেন, আর তারপর (ফরাসি) প্রেসিডেন্টের টেবিলে নিজের পা তুলে দিলেন।’
‘আপাতদৃষ্টিতে ব্যাপারটি হয়তো তুচ্ছ মনে হচ্ছে, কিন্তু এতে চরম ঔদ্ধত্য ও অবজ্ঞাই প্রকাশ পাচ্ছে,’ যোগ করেন ক্যাম্পবেল।
তবে গণমাধ্যম স্কাই নিউজের রাজনীতিবিষয়ক সংবাদদাতা টম রেয়নার এ ঘটনাকে হালকা রসিকতার অংশ হিসেবেই দেখছেন। ফরাসি গণমাধ্যমগুলোও এ ঘটনাকে হালকাভাবেই নিয়েছে।
ফরাসি সংবাদপত্র লা প্যারিসিয়েন এ বিষয়ে প্রতিবেদনের শিরোনাম করেছে, ‘না, ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁর সামনে টেবিলে পা তুলে ফ্রান্সকে অপমান করেননি বরিস জনসন।’
দুই দেশের নেতার সাক্ষাতের বিভিন্ন বিষয় তুলে ধরে ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, ‘ইন্টারনেট খুব দ্রুত প্রতিক্রিয়া জানিয়ে ফেলে এবং মাঝেমধ্যে ওভার রিঅ্যাক্ট করে ফেলে।’