সংসদে বসে পর্নগ্রাফি দেখে বরখাস্ত হওয়া নেতা এবার মন্ত্রী হলেন!
তিন সপ্তাহ আগে ভারতের কর্ণাটক রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী হয়েছেন বিজেপির বি এস ইয়েদুরাপ্পা। সম্প্রতি তিনি তিনজন উপমুখ্যমন্ত্রী নিয়োগ করেছেন। তাঁদের মধ্যে একজনকে নিয়ে বিতর্ক হয়েছিল কয়েক বছর আগে। তিনি বিধানসভায় বসে পর্নগ্রাফি দেখছিলেন। বিজেপি বিধায়করাই প্রশ্ন তুলেছেন, এমন লোককে উপমুখ্যমন্ত্রী করা কি ঠিক হচ্ছে?
সংবাদমাধ্যম হিন্দুস্তান টাইমস এক প্রতিবেদনে জানায়, অভিযুক্ত নেতার নাম লক্ষ্মণ সাবাধি। তাঁকে পরিবহণ দপ্তরের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। বিজেপির বিধায়ক এম পি রেণুকাচার্য প্রশ্ন তোলেন, লক্ষ্মণ সাদভিকে এখনই মন্ত্রিসভায় নেওয়ার কী দরকার ছিল? তিনি তো নির্বাচনেও হেরেছেন। গত বছর লক্ষ্মণ সাদভি কংগ্রেস নেতা মহেশ কুমাট্টাল্লির কাছে হেরে যান। কুমাট্টাল্লি অবশ্য পরে ডিসকোয়ালিফায়েড হন।
লক্ষণ সাদভি বলেন, দিল্লি ও রাজ্যের নেতারা আমাকে উপমুখ্যমন্ত্রী করেছেন। তাঁরা আমার ওপরে আস্থা রেখেছেন। আমি দলকে শক্তিশালী করব। সরকারের যাতে সুনাম হয়, তাও দেখব। আমি উপমুখ্যমন্ত্রী হতে চাইনি। শীর্ষ নেতারা আমাকে এই পদ দিয়েছেন। আমি গ্রহণ করেছি।
২০১২ সালে লক্ষণ সাদভির বিরুদ্ধে অভিযোগ ওঠে, তিনি আরো দুই বিধায়কের সঙ্গে বিধানসভায় বসে পর্ন ভিডিও দেখছিলেন। ওই ঘটনা জানাজানি হতে বিজেপি অস্বস্তিতে পড়ে। পরে লক্ষণ সাদভি বলেন, তাঁরা জানতে চেয়েছিলেন, রেভ পার্টিতে কী হয়। তাই ওই ভিডিও ক্লিপগুলো দেখছিলেন। যখন তিনি ধরা পড়েন, তার কিছুদিন বাদে বিধানসভায় রেভ পার্টি নিয়ে আলোচনা হওয়ার কথা ছিল। লক্ষণ সাদভি বাদে অপর যে দুই বিধায়ক পর্নোগ্রাফি দেখছিলেন, তাঁরা হলেন সি সি পাতিল ও কৃষ্ণা পালেমার। পর্নগ্রাফি দেখার কথা জানাজানি হওয়ার পর তিনজনই বিধায়ক পদ থেকে ইস্তফা দেন।