পেটে ব্যথা নিয়ে হাসপাতালে এসেছিলেন মধ্যবয়সী এক নারী। আর সেই নারীকে কনডম ব্যবহারের পরামর্শ দিলেন চিকিৎসক। তবে ঘটনা জানাজানি হওয়ার পরেই ভুল চিকিৎসা এবং রোগীর সঙ্গে খারাপ ব্যবহারের অভিযোগে সরকারি হাসপাতালের ওই চিকিৎসককে তাঁর পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে।

চাঞ্চল্যকর এ ঘটনা ঘটেছে ভারতের ঝাড়খন্ড রাজ্যের ঘাটশিলার একটি হাসপাতালে। জানা যায়, ৫৫ বছর বয়সী এক নারী পেটে ব্যথা নিয়ে গত ২৩ জুলাই ওই হাসপাতালে এসেছিলেন। নারীর পেটে ব্যথা শুনে ওই হাসপাতালের চিকিৎসক আশরাফ বাদার ওই নারীকে যৌন সংসর্গের সময় তাঁর পুরুষ সঙ্গীকে কনডম ব্যবহারের পরামর্শ দেন। এমনকি চিকিৎসক ওই নারীকে তাঁর ব্যক্তিগত চেম্বারে দেখা করতেও বলেন বলে অভিযোগ ওঠে।

এর পরেই ওই নারী বিষয়টি তাঁর পরিচিতদের জানান। পরে গোটা ঘটনা জানাজানি হয়ে যায়। তড়িঘড়ি করে হাসপাতালের তরফে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। তদন্ত শেষে চিকিৎসক আশরাফকে পদ থেকে সরিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

জানা গেছে, চিকিৎসক আশরাফ ওই সরকারি হাসপাতালে এক বছরের চুক্তিতে নিয়োগপত্র  পেয়েছিলেন। এর আগেও আশরফের বিরুদ্ধে ভুল চিকিৎসা এবং রোগীদের সঙ্গে খারাপ ব্যবহারের অভিযোগ উঠেছিল। এমনকি এক সেবিকার সঙ্গেও দুর্ব্যবহার করার অভিযোগ ওঠে তাঁর বিরুদ্ধে। যদিও সে সময় তিনি আর এই ধরনের কাজ আর করবেন না বলে মুচলেকা দিয়ে রেহাই পেয়েছিলেন।

তবে এবারের ঘটনায় আশরাফ অবশ্য দাবি করেছেন, তাঁকে ফাঁসানো হয়েছে। তিনি কোনো প্রেসক্রিপশন ওই নারীকে দেননি বলেও জানান। আশরাফ এর বিরুদ্ধে আদালতে যাবেন বলেও জানিয়েছেন।