‘চাঁদের দেখা পেলেও যানের দেখা পায়নি ভারত’
চাঁদের পিঠে অবস্থান করছে চন্দ্রযান-২ এবং এটির সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা চলছে, রবিবার জানালেন ইসরো প্রধান কে শিভান।
সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি এক প্রতিবেদনে জানায়, শনিবার মধ্যরাতে চন্দ্রযান ২-এর ল্যান্ডার যোগাযোগ বিচ্ছ্ন্ন হয়ে যায়। তার একদিন পরই এ খবর শোনালেন তিনি।
ইসরো প্রধানের বরাত দিয়ে প্রতিবেদনে বলা হয়, ‘আমরা চাঁদের পৃষ্ঠে বিক্রম ল্যান্ডারের অবস্থান খুঁজে পেয়েছি। ল্যান্ডারের একটি থার্মাল ইমেজ সংগ্রহ করেছে অরবিটার। তবে এখন পর্যন্ত কোনো যোগাযোগ করা যায়নি। আমরা যোগাযোগের চেষ্টা করছি। খুব দ্রুতই যোগাযোগ করা যাবে।’
শনিবার ভোররাতে চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে পৌঁছানোর কথা ছিল চন্দ্রযান-২। এক হাজার কোটি টাকার এই চন্দ্রযান ২-এর সফলতার সঙ্গে ইতিহাস রচনার দিকে তাকিয়ে ছিল ভারত। চাঁদের পৃষ্ঠে অবতরণ করলে আমেরিকা, রাশিয়া ও চিনের পরই স্থান হওয়ার কথা রয়েছে ভারতের।
পাশাপাশি প্রথমবারেই চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে সফলভাবে অবতরণের রেকর্ডও দখলে আসত ভারতের।
ভারতের একাধিক সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, শনিবার রাতে চাঁদে অবতরণ করতে যাওয়া যান ‘বিক্রম’ ল্যান্ডারের পৃথিবীর সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস জানিয়েছে, অনেক চেষ্টা করেও ইসরোর বিজ্ঞানীরা ‘বিক্রমে’র হদিস পাচ্ছেন না। বিজ্ঞানীদের আশঙ্কা চাঁদের মাটিতে আছড়ে পড়েছে ‘বিক্রম’।
ইতিহাসের সাক্ষী হতে দেশটির প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি স্কুল শিক্ষার্থীদের নিয়ে নিয়ন্ত্রণ কক্ষ থেকে লাইভ দেখেন। অভিযানের ব্যর্থতার পর গতকাল শনিবার সকালে মোদি বেঙ্গালুরুতে ইসরোর দপ্তরে বিজ্ঞানীদের সঙ্গে দেখা করেন। বার্তা সংস্থা ইউএনবি ওই তথ্য জানায়।
মোদি ওই দপ্তরে যেতেই ড. কে সিভান কান্নায় ভেঙে পড়েন। মোদি তাঁকে জড়িয়ে ধরেন। ওই অবস্থাতেই কাঁদছিলেন ওই বিজ্ঞানী।
মোদি বলেন, ‘জীবনে নানা উত্থান-পতন রয়েছে। আমরা চাঁদের মাটিকে স্পর্শ করবই। সেই সময় আসতে বেশি বাকি নেই। আমরা আমাদের সেরা সময়ের খুব কাছাকাছি চলে এসেছি।’
মোদি ড. সিভানকে জড়িয়ে বলেন, ‘আমি আপনার মনের অবস্থা বুঝতে পারছি। আপনার সমব্যথী আমি। আমি জানি, আপনি এই ব্যর্থতার জন্য সারারাত ঘুমতে পারেননি।’
গত ২৩ জুলাই অন্ধ্র প্রদেশের শ্রীহরিকোটা থেকে উৎক্ষেপণ হয় চন্দ্রযান-২। এ মহাকাশ যানটি ৪৪ মিটার দীর্ঘ এবং উচ্চতায় ১৫তলা ভবনের সমান।