টানা এক বছর তরুণীকে ‘ধর্ষণ’ করে ‘আধ্যাত্মিক জগতে’ বিজেপি নেতা!
ভারতের উত্তর প্রদেশের এক তরুণী অভিযোগ করেছেন তাঁকে টানা এক বছর ধরে ধর্ষণ করেছেন বিজেপি নেতা চিন্ময়ানন্দ।
সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি এক প্রতিবেদনে জানায়, ওই তরুণী এক সপ্তাহ নিখোঁজ থাকার পর বিজেপি নেতা ও প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী চিন্ময়ানন্দের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ করে বলেন, তিনি এই কদিন আত্মগোপন করেছিলেন কারণ তাঁর ভয় ছিল তাঁর এবং তাঁর পরিবারের প্রাণের ঝুঁকি রয়েছে।
২৩ বছর বয়সী ওই তরুণী তিন বারের সাংসদ চিন্ময়ানন্দ পরিচালিত একটি আইন কলেজের ছাত্রী ছিলেন। তাঁর অভিযোগ, ৭২ বছর বয়সী চিন্ময়ানন্দ তাঁকে এক বছর ধরে ধর্ষণ ও শারীরিক নির্যাতন করেছেন।
বৃহস্পতিবার দিল্লির লোধি রোডের থানায় জমা দেওয়া ১২ পাতার অভিযোগপত্রে ওই তরুণী জানান উত্তর প্রদেশের পুলিশকে তিনি বিশ্বাস করেন না। কেননা তাঁর পরিবার উত্তর প্রদেশের শাহজাহানপুর জেলা প্রশাসন থেকে কোনো সাহায্য পায়নি।
গত সোমবার সংবাদমাধ্যমের সামনে উপস্থিত হয়ে কালো স্কার্ফে মুখ ঢেকে ওই তরুণী জানান, চিন্ময়ানন্দ তাঁকে এক বছর ধরে ধর্ষণ ও শারীরিক নিপীড়ন করেছেন।
গত ২৪ আগস্ট থেকে নিখোঁজ থাকার পর ৩০ আগস্ট রাজস্থানে তাঁকে খুঁজে পাওয়া যায়। এর আগে এক সপ্তাহ তাঁর কোনো খোঁজ মেলেনি। নিখোঁজ হওয়ার আগে তিনি অনলাইনে একটি ভিডিও পোস্ট করে জানান, ওই বিজেপি নেতা কীভাবে তাঁকে নিগ্রহ করেছেন ও ভয় দেখিয়েছেন। তাঁকে খুনের হুমকিও দেওয়া হয়েছে বলে জানান তিনি। ওই ভিডিওতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের কাছে সাহায্য প্রার্থনা করেন ওই তরুণী।
এদিকে বিজেপি নেতা ও প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী চিন্ময়ানন্দ জানান, এসবই তাঁকে ব্ল্যাকমেল করার চক্রান্ত।
গত ৩০ আগস্ট ওই তরুণীকে রাজস্থানে খুঁজে পাওয়া পর সুপ্রিম কোর্টে হাজির করা হলে তিনি আদালতকে জানান, প্রাণ বাঁচাতেই তিনি আত্মগোপন করেছিলেন। এরপর শীর্ষ আদালত একটি বিশেষ অনুসন্ধানকারী দল গঠন করার নির্দেশ দেন এই অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করার জন্য।
অন্যদিকে চিন্ময়ানন্দের আইনজীবী জানিয়েছেন, ‘স্বামী জি মামলাটি থেকে দূরে সরে যাচ্ছেন না। তিনি এই মুহূর্তে আধ্যাত্মিক ক্রিয়াকলাপে ব্যস্ত। কিন্তু তিনি অবশ্যই প্রয়োজন পড়লে দিল্লি পুলিশের সামনে হাজিরা দেবেন।’