সৌদি খনিতে হামলার জেরে বেড়েছে তেলের দাম
সৌদি আরবের দুটি বড় তেলক্ষেত্রে হামলার প্রভাব পড়েছে তেলের বাজারে। গত শনিবারের ওই হামলার জেরে বৈশ্বিক তেল সরবরাহ কমে গেছে ৫ শতাংশের বেশি। তেল সরবরাহে ব্যাঘাত ঘটায় বিশ্ববাজারে বেড়ে গেছে তেলের দাম। এর ফলে গত চার মাসের মধ্যে সর্বোচ্চ মূল্যে পৌঁছায় তেলের বাজারদর।
শনিবার সৌদি আরবের রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠান আরামকোর দুটি তেল প্রক্রিয়াজাতকরণ স্থাপনায় ড্রোন হামলা হয়। এ হামলার দায় স্বীকার করেছে ইয়েমেনের হুতি বিদ্রোহীরা। সংবাদমাধ্যম বিবিসির প্রতিবেদন থেকে এসব তথ্য জানা গেছে।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প যুক্তরাষ্ট্রের মজুদ তেল বাজারে ছাড়ার অনুমতি দেওয়ার পর তেলের দাম কিছুটা কমেছে। হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত তেলক্ষেত্র দুটি পুরোপুরি চালু হতে কয়েক সপ্তাহ সময় লাগতে পারে।
আরামকো কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, আবকিয়াক ও খুরিয়াস তেলক্ষেত্রে ড্রোন হামলার কারণে দৈনিক ৫৭ লাখ ব্যারেলের তেল উৎপাদন বন্ধ রয়েছে। এটি দেশটির মোট উৎপাদনের অর্ধেক আর বৈশ্বিক গড় উৎপাদনের পাঁচ ভাগ। দুটি তেলক্ষেত্রের মধ্যে আবকিয়াক হচ্ছে বিশ্বের সবচেয়ে বড় তেল শোধনাগার। ডয়েচে ভেলের প্রতিবেদনে এসব তথ্য উঠে এসেছে।
এদিকে সৌদি আরবের তেলক্ষেত্রে হামলার জন্য ইরানকে দায়ী করছে রিয়াদ ও ওয়াশিংটন।
যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও টুইটারে লেখেন, ‘সৌদি আরবে অন্তত ১০০টি হামলার পেছনে তেহরান দায়ী। অথচ রুহানি ও জারিফ কূটনীতিতে ব্যস্ত থাকার ভান করছেন। বারবার উত্তেজনা প্রশমনের আহ্বান জানানোর পরও বিশ্বের জ্বালানি সরবরাহে নজিরবিহীন হামলা চালাল ইরান।’
পম্পেও আরো জানান, ইয়েমেন থেকে ড্রোন হামলা হওয়ার কোনো প্রমাণ পাওয়া যায়নি।
তবে যুক্তরাষ্ট্রের অভিযোগ অস্বীকার করেছে ইরান। দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী জাভেদ জারিফ এক টুইট বার্তায় জানান, ‘সর্বোচ্চ চাপ’ প্রয়োগে ব্যর্থ হয়ে পম্পেও ইরানের সঙ্গে ‘সর্বোচ্চ প্রতারণা’ শুরু করেছেন।
এদিকে মার্কিন প্রেসিডেন্ট এক টুইট বার্তায় বলেন, ‘হামলা কে চালিয়েছে, সেটা যুক্তরাষ্ট্র জানে। ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য সব প্রস্তুত আছে। সৌদি আরব কী করতে চায়, তা জানার অপেক্ষা করছে যুক্তরাষ্ট্র।’