সৌদি তেলক্ষেত্রে হামলা প্রশ্নে জাতিসংঘের পদক্ষেপের অপেক্ষায় যুক্তরাষ্ট্র
সৌদি আরবের তেল স্থাপনায় হামলার ব্যাপারে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদ জোরালো পদক্ষেপ নেবে, এমনটা আশা করছে যুক্তরাষ্ট্র। আর এ হামলার জন্য যুক্তরাষ্ট্র ইরানকে দায়ী করছে। গতকাল মঙ্গলবার মার্কিন প্রশাসনের এক জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা এ কথা জানান। বার্তা সংস্থা এএফপি ও বাসস এ খবর জানিয়েছে।
ওই কর্মকর্তা বলেন, ‘নিরাপত্তা পরিষদের পদক্ষেপের প্রচেষ্টায় সৌদি আরবের এগিয়ে আসা প্রয়োজন। তবে তার আগে প্রকাশের জন্য যুক্তরাষ্ট্রের তথ্য প্রস্তুত করা প্রয়োজন।’
নাম প্রকাশ না করার শর্তে ওই কর্মকর্তা আরো বলেন, ‘এ হামলার ব্যাপারে আমরা জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের ভূমিকার দিকে তাকিয়ে আছি।’
তিনি বলেন, ‘সৌদি আরব যে হামলার শিকার হয়েছে, বিশ্বব্যাপী এর একটি পরিণাম রয়েছে। আন্তর্জাতিক শান্তি ও নিরাপত্তার হুমকি মোকাবিলার লক্ষ্যে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদ প্রতিষ্ঠা করা হয়। এমন বিষয় মাথায় রেখেই এটা মোকাবিলা করা উচিত হবে।’
এ ক্ষেত্রে কী ধরনের পদক্ষেপে নেওয়া যেতে পারে, সে ব্যাপারে ওই কর্মকর্তা নির্দিষ্ট করে কিছু না বললেও এ বিষয়ে পরবর্তী করণীয় ঠিক করতে তাঁরা জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদে চেষ্টা চালাবেন। অবশ্য নিরাপত্তা পরিষদে রাশিয়া ও চীনের ভেটো ক্ষমতা রয়েছে। তারা ইরানের বিরুদ্ধে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের একতরফা নিষেধাজ্ঞা আরোপের কঠোর সমালোচনা করে আসছে।
এদিকে ইউরোপীয় ক্ষমতাধর দেশগুলো ইরান বিষয়ে ট্রাম্পের কঠোর অবস্থান থেকে নিজেদের দূরে সরিয়ে রেখেছে। তারা তেহরানের পরমাণু কর্মসূচি বিষয়ে করা চুক্তি বজায় রাখার আহ্বান জানিয়েছে। আর গত বছরই এ চুক্তি থেকে বেরিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছিলেন ট্রাম্প।