পশ্চিমবঙ্গে এনআরসি আতঙ্কে আরো দুজনের আত্মহত্যা
আসামের পর ভারতের পশ্চিমবঙ্গেও জাতীয় নাগরিকপঞ্জি-এনআরসি তৈরি হতে পারে এমন আতঙ্কে রাজ্যে আরো দুজন আত্মহত্যা করেছেন বলে খবর পাওয়া গেছে। এ নিয়ে এনআরসি আতঙ্কে এক সপ্তাহে রাজ্যে আটজনের মৃত্যুর ঘটনা ঘটল। আজ বুধবার বার্তা সংস্থা ইউএনবি এ তথ্য জানিয়েছে।
পুলিশ জানিয়েছে, নিহত ব্যক্তিদের মধ্যে একজনের বয়স ২৫ ও অন্যজনের বয়স ৫০। তাঁরা উত্তরবঙ্গের ধুপগুড়ি ও জলপাইগুড়ির বাসিন্দা।
নিহত দুই ব্যক্তির পরিবারের সদস্য ও প্রতিবেশীদের বরাত দিয়ে এক জ্যেষ্ঠ পুলিশ কর্মকর্তা জানিয়েছেন, নিজেদের নাগরিকত্ব প্রমাণের সঠিক কাগজপত্র জোগাড় করতে না পারায় তাঁরা হতাশায় ভুগছিলেন। আতঙ্কের কারণে দুজন আত্মহত্যা করেন। দুটি ঘটনারই তদন্ত শুরু করা হয়েছে বলেও জানান ওই পুলিশ কর্মকর্তা।
এদিকে ভারতের সরকারি সূত্র জানিয়েছে, নাগরিকপঞ্জির আতঙ্কে অন্য জেলায় আরো দুজন আত্মহত্যা করেছেন। এ ছাড়া চারজন অসুস্থ হয়ে মারা গেছেন।
এনডিটিভির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কলকাতাসহ পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যজুড়ে ক্রমশ বাড়ছে এনআরসি আতঙ্ক। আসামের নাগরিকপঞ্জি থেকে বিপুল সংখ্যক হিন্দু ধর্মাবলম্বীর নাম বাদ পড়ায় এ রাজ্যের মানুষদের মধ্যে আতঙ্ক তৈরি হয়েছে। আসামের নাগরিকপঞ্জি থেকে বাদ পড়েছে ১৯ লাখেরও বেশি মানুষের নাম। গত ৩১ আগস্ট প্রকাশিত ওই তালিকা থেকে দেখা যায়, তালিকায় নাম না থাকাদের মধ্যে ১২ লাখ হিন্দু ধর্মাবলম্বী।
নাগরিকত্ব প্রমাণের প্রয়োজনীয় নথি সংগ্রহের জন্য কলকাতাসহ রাজ্যের বিভিন্ন অঞ্চলে আতঙ্কিত হাজার হাজার মানুষ সরকারি দপ্তর ও পৌরসভায় ভিড় জমাচ্ছেন।
এদিকে তৃণমূল সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, এ রাজ্যে কোনো নাগরিকপঞ্জি হবে না। কিন্তু তারপরও রাজ্যজুড়ে অনেকেই আগাম সতর্কতা হিসেবে জরুরি নথি সংগ্রহ করে রাখতে সচেষ্ট হয়েছেন। আসামের নাগরিকপঞ্জি থেকে বিরাট সংখ্যক হিন্দু বাঙালির নাম বাদ পড়ার পর রাজ্যে আতঙ্ক বাড়তে শুরু করেছে।