জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গাদের অবহিত করে ‘স্বেচ্ছায়, নিরাপদে, মর্যাদাপূর্ণ ও টেকসই’ প্রত্যাবাসনের জন্য মিয়ানমারকে উপযুক্ত পরিস্থিতি তৈরির আহ্বান জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। এ ছাড়া মিয়ানমারের নিয়মকানুন (কারিকুলাম) অনুযায়ী, বাংলাদেশে থাকা সব রোহিঙ্গাকে সুযোগ-সুবিধা দিতে মিয়ানমারকে বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে কাজ করার আহ্বান জানিয়েছে দেশটি। বার্তা সংস্থা ইউএনবি এ তথ্য জানিয়েছে।

যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলছে, এটি মিয়ানমারে ফিরতে ইচ্ছুক রোহিঙ্গা যুবকদের পুনরায় সংহতকরণে সহায়তা করবে।

গতকাল মঙ্গলবার নিউইয়র্কে রোহিঙ্গা ও বাংলাদেশের ক্ষতিগ্রস্ত স্থানীয় সম্প্রদায়ের জন্য নতুন করে ১২৭ মিলিয়ন মার্কিন ডলার অর্থ সহায়তা ঘোষণাকালে যুক্তরাষ্ট্র এ আহ্বান জানায়।

কর্তৃপক্ষের দাবি, এ তহবিল বাংলাদেশে থাকা নয় লাখেরও বেশি রোহিঙ্গার জরুরি চাহিদা মেটাতে সহায়তা করবে। যাদের মধ্যে রোহিঙ্গা নারী, মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্য থেকে আসা শিশু ও বাংলাদেশের ক্ষতিগ্রস্ত স্থানীয় সম্প্রদায়ও থাকবে।

এ ছাড়া তহবিলটি রোহিঙ্গাসহ অভ্যন্তরীণভাবে বাস্তুচ্যুত, মিয়ানমারের অন্যান্য ক্ষতিগ্রস্ত সম্প্রদায়ের সদস্য এবং মিয়ানমারের সামরিক বাহিনী ও আরাকান আর্মির মধ্যে দ্বন্দ্বে ক্ষতিগ্রস্তদের জীবন রক্ষাকারী সহায়তা হিসেবে কাজ করবে।

মিয়ানমার ও বাংলাদেশে সৃষ্ট রোহিঙ্গা সংকটে মানবিক সহায়তা প্রদানের দিক থেকে শীর্ষ সহায়তাকারী দেশের একটি যুক্তরাষ্ট্র।

এক বিবৃতিতে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে বলা হয়, ‘সাম্প্রতিক কয়েক মাসে অনেক সদস্য দেশ সহায়তার হাত বাড়িয়ে দিয়েছে। আমরা তাদের স্বাগত জানাই। আমরা তাদের এবং অন্যান্য দেশ ও অংশীজনদের আরো অবদান রাখার আহ্বান জানাচ্ছি।’

২০১৭ সালের ২৫ আগস্টের পর মিয়ানমারের সরকারি বাহিনীর নির্যাতনের শিকার হয়ে দেশটির রাখাইন রাজ্য থেকে পালিয়ে সীমান্ত অতিক্রম করে ১১ লাখেরও বেশি রোহিঙ্গা বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে।