জাতিসংঘে ইমরান খানের ভাষণজুড়ে কাশ্মীর ইস্যু
জাতিসংঘের ৭৪তম সাধারণ অধিবেশনে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের ভাষণের অধিকাংশজুড়ে ছিল কাশ্মীর ইস্যু। এ অধিবেশনে সাধারণত রাষ্ট্রপ্রধানরা ১৭ মিনিট করে সময় পান। সেখানে ৪৫ মিনিট কথা বলেন ইমরান খান। কাশ্মীর ইস্যুকে বিশ্ববাসীর নিকট তুলে ধরতেই জাতিসংঘের এ অধিবেশনে যোগ দিচ্ছেন বলে এর আগেই জানিয়েছিলেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী।
ভাষণে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান বলেন, ‘ভারতের রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘ (আরএসএস) সমর্থিত সরকার মুসলিমদের চরমপন্থার দিকে ঠেলে দিচ্ছে। বছরের পর বছর ধরে জুলুম, নির্যাতনের শিকার কাশ্মীরীরা উগ্রবাদে উদ্বুদ্ধ হতে পারে এবং পুলওয়ামা হামলার মতো আরো ঘটনা ঘটতে পারে।’
সম্প্রতি ভারতীয় সেনাপ্রধান দাবি করেন, ভারতে হামলা চালানোর জন্য ৫০০ জনকে প্রস্তুত করছে পাকিস্তান। ওই দাবির কথা উল্লেখ করে ইমরান খান বলেন, ‘যেখানে ভারত নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরে নয় লাখ ভারতীয় সেনা রয়েছে, সেখানে ৫০০ জনকে কেন পাঠাবে পাকিস্তান।’
ইমরান খান আরো বলেন, ‘১৮ কোটি ভারতীয় মুসলমান দেখছে, ৮০ লাখ কাশ্মীরি মুসলমানের সঙ্গে কী আচরণ করছে ভারতীয় বাহিনী। বিশ্ববাসীরও এদিকে নজর দেওয়া উচিত, দেখা উচিত। সময় ফুরিয়ে যাওয়ার আগেই বিশ্ববাসীর এ নিয়ে সরব হওয়া দরকার।’
কাশ্মীরে কারফিউ তুলে নেওয়ার পর সেখানে রক্তবন্যা দেখা যেতে পারে বলেও হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন ইমরান খান।
কাশ্মীর নিয়ে ভারতের সঙ্গে পাকিস্তানের অস্থিরতা বিষয়ে ইমরান খান বলেন, ‘দুটি দেশের মধ্যে যদি যুদ্ধ শুরু হয়... যেকোনো কিছুই হয়ে যেতে পারে। যখন দুটি পরমাণু শক্তিধর দেশ লড়াই করবে, গোটা বিশ্বে তার প্রভাব পড়বে। এটা জাতিসংঘের কাছে পরীক্ষা।’
প্রায় ৪৫ মিনিটের বক্তব্যের বেশিরভাগ সময়ই জম্মু ও কাশ্মীরের ৩৭০ ধারা প্রত্যাহার নিয়ে ভারতের সিদ্ধান্তের প্রসঙ্গ ধরে বক্তব্য তুলে ধরেন ইমরান খান।
জাতিসংঘের মঞ্চে দাঁড়িয়ে ভারতকে তুলোধনা করতে গিয়ে একপর্যায়ে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে ‘প্রেসিডেন্ট’ সম্বোধন করেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। এ নিয়ে সামাজিক মাধ্যমে ভারতীয়দের ট্রলের শিকার হচ্ছেন ইমরান খান।