অবৈধভাবে ভারতে গিয়ে গণধর্ষণের শিকার বাংলাদেশি নারী
এক বাংলাদেশি নারী ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যে গণধর্ষণের শিকার হয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে । পশ্চিমবঙ্গের উত্তর ২৪ পরগনা জেলার বনগাঁ মহকুমার ছয়ঘড়িয়া গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় গত সোমবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে।
গত মঙ্গলবার রাতে বিষয়টি জানিয়ে বনগাঁ পেট্রাপোল থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন ওই বাংলাদেশি নারী। এ ঘটনায় পেট্রাপোল থানার পুলিশ তদন্তে নেমেছে।
অভিযোগে ওই নারী জানান, তিনি বাংলাদেশের যশোর জেলার বাসিন্দা। এক মাস আগে তিনি বাংলাদেশ থেকে দালাল চক্রের হাত ধরে কাজের খোঁজে ভারতে অনুপ্রবেশ করেন। কিন্তু দালাল তাঁকে ভারতের সুরাট রাজ্যের এক নিষিদ্ধপল্লীতে বিক্রি করে দেয়। সেখান থেকে এক ব্যক্তির সহযোগিতায় গত এক সপ্তাহ আগে তিনি পালিয়ে আসেন।
তারপর ওই ব্যক্তি তাঁকে কলকাতার ট্রেনে টিকিট কেটে তুলে দেন। গত রোববার রাতে ওই নারী সুরাট থেকে কলকাতার শিয়ালদহ স্টেশনে এসে পৌছান। সেখান থেকে সোমবার সকালে বাংলাদেশে ফিরে যাওয়ার উদ্দেশে উত্তর ২৪ পরগনা জেলার বনগাঁ সীমান্তে আসেন ওই নারী।
সেখানে এসে ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত লাগোয়া ছয়ঘড়িয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের নরহরিপুর গ্রামে আশ্রয় নেন তিনি। উদ্দেশ্য ছিল, ফের দালাল ধরে নিজের দেশ বাংলাদেশে ফিরে আসার।
কিন্তু সোমবার সন্ধ্যায় স্থানীয় নরহরিপুর গ্রামের দুই যুবক তাঁকে বাংলাদেশে পার করে দেওয়ার নামে সীমান্ত লাগোয়া একটি ফাঁকা মাঠে নিয়ে যায়। সেখানে দুজনে মিলে তাঁকে ধর্ষণ করে। এরপর রাতে একটি ফাঁকা ঘরে নিয়ে যায়। সেখানেও তাঁরা ওই নারীকে ধর্ষণ করে। সেই সঙ্গে ওই নারীর মোবাইল ফোন ও টাকা পয়সা কেড়ে নেয় তারা।
ওই ঘটনার পর দুই যুবক তাঁকে সেখানে রেখে পালিয়ে যায়। পরবর্তী সময়ে স্থানীয় বাসিন্দারা ওই নারীকে উদ্ধার করে পুলিশের হাতে তুলে দেয়।
নরহরিপুর গ্রামের পঞ্চায়েত সদস্য পরিতোষ বিশ্বাস জানান, ‘আমি ফোনে বিষয়টি জানতে পেরে ওই বাংলাদেশি নারীকে পেট্রাপোল থানার পুলিশের হাতে তুলে দেওয়ার ব্যবস্থা করি। আমি চাই, ওই নারীর উপর যারা নির্যাতন চালিয়েছে তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হোক।’