মেক্সিকোর একটি কারাগারে দাঙ্গায় নিহত হয়েছে কমপক্ষে ৫২ জন। দাঙ্গার সময় জেলে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হলে এই কয়েদিরা মারা যান বলে জানিয়েছে রয়টার্স।

মেক্সিকোর পুলিশ প্রধান হোসে রোজারিও কোমোর বরাত দিয়ে সংবাদমাধ্যমটি জানায়, স্থানীয় সময় বুধবার দিবাগত রাত সাড়ে ৪টার দিকে মেক্সিকোর উত্তরাঞ্চলীয় নুয়েভো লিওন রাজ্যের মন্টেরারি নগরীর কাছে টোপো চিকো নামের কারাগারে এ দাঙ্গার সূচনা হয়। প্রাথমিক পর্যায়ে এতে আহত হন ১২ জন। রাত সোয়া ৫টার দিকে দাঙ্গার একপর্যায়ে কারাগারে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়।

এ সময় বিপুল বন্দি পালিয়ে গেছে বলে স্থানীয় সংবাদমাধ্যমের বরাতে জানিয়েছে রয়টার্স। তবে  নুয়েভো লিওন রাজ্যের পুলিশ জানিয়েছে, পরিস্থিত এখন নিয়ন্ত্রণে এবং কোনো বন্দি পালানোর খবর তাঁদের কাছে নেই।

এদিকে প্রত্যক্ষদর্শীর বরাতে ওয়াশিংটন টাইমস জানায় স্থানীয় সময় সকাল ১০টার দিকেও কারাগার থেকে ধোঁয়ার কুণ্ডলি উড়তে দেখা গেছে। এ ছাড়া রাজ্যের পুলিশ সঠিক তথ্য দিচ্ছে না বলে অভিযোগ করেছেন বন্দিদের স্বজনরা। 

স্বজনদের দাবি অনুযায়ী টোপো চিকো কারাগারে সাড়ে তিন হাজারের বেশি কারাবন্দি রয়েছে এবং  তাদের আত্মীয়স্বজনরা আতঙ্কে রয়েছেন। জেলের ভেতরে কী হয়েছে বা হচ্ছে সে সম্পর্কে তথ্য চাইছেন তাঁরা। বিক্ষুব্ধ আত্মীয়স্বজন কারাগারের বাইরের রাস্তা অবরোধ করে ভেতরের পরিস্থিতি বিষয়ে সঠিক তথ্য দাবি করছেন।

তবে টেপো চিকো কারাগারে দাঙ্গায় ঠিক কতজন নিহত হয়েছে, সে সম্পর্কে এখনো সরকারিভাবে নিশ্চিত করা হয়নি। বিভিন্ন সূত্র থেকে স্থানীয় গণমাধ্যম হতাহতের তথ্য পেয়েছে।

এদিকে নুয়েভো লিওন রাজ্যের গভর্নর হাইম রদ্রিগেজ রয়টার্সকে বলেছেন, ‘আমরা একটি ট্র্যাজিডির মুখোমুখি হয়েছি। তবে কী কারণে কারাগারে দাঙ্গা ছড়িয়ে পড়ে, তা নিয়েও কিছু জানা যায়নি। এ ছাড়া এখনো হতাহতের তথ্য সম্পর্কে নিশ্চিত হতে পারিনি আমি।’ তদন্তের পর বিস্তারিত বলা হবে বলেও সাংবাদিক ও কারাবন্দিদের স্বজনদের আশ্বস্ত করেছেন তিনি।

মেক্সিকোর মাদক পাচার প্রবণ এলাকাগুলোর মধ্যে নুয়েভো লিওন অন্যতম। বিবিসি জানায় এমন এক সময়ে টেপো চিকো কারাগারে দাঙ্গা হলো যখন কয়েক দিনের মধ্যে ওই অঞ্চলের একটি কারাগার পরিদর্শন করার কথা ছিল খ্রিস্টানদের সর্বোচ্চ ধর্মীয়গুরু পোপ ফ্রান্সিসের।