ফিজিতে ঘূর্ণিঝড়ে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ২৯
ঘূর্ণিঝড় উইনস্টনের আঘাতে প্রশান্ত মহাসাগরীয় দ্বীপরাষ্ট্র ফিজিতে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ২৯ জনে দাঁড়িয়েছে। প্রায় সাড়ে আট হাজার মানুষ দেশের বিভিন্ন স্থানে আশ্রয়কেন্দ্রগুলোতে অবস্থান নিয়েছে।
ফিজি সরকার জানিয়েছে, ঘূর্ণিঝড়ের আঘাতে দেশটি প্রধান দ্বীপ ভিটা ল্যাভু ও করোতে অনেক ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। দেশটির অনেক এলাকাই এখন বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন অবস্থায় রয়েছে। তবে ঘূর্ণিঝড়ের অভিমুখ পরিবর্তন হওয়ায় দেশটির রাজধানী সুভার কোনো ক্ষয়ক্ষতি হয়নি। ঘূর্ণিঝড়ের সময় বাতাসের গতিবেগ ছিল ঘণ্টায় ৩২০ কিলোমিটার আর সঙ্গে ছিল ভারি বৃষ্টি।
ফিজি ব্রডকাস্টিং করপোরেশনের প্রতিবেদন অনুযায়ী, ঘূর্ণিঝড় উইনস্টন সাম্প্রতিক কালের মধ্যে সবচেয়ে শক্তিশালী এবং এর ক্ষয়ক্ষতিও ছিল ব্যাপক। এই ধ্বংসস্তূপ সরিয়ে নিতে প্রায় এক মাস সময় লাগবে।
ফিজি সরকারের মুখপাত্র ইওয়ান পেরা রেডিও নিউজিল্যান্ডকে বলেন, করো দ্বীপে প্রায় দুই হাজার পরিবার ক্ষতির শিকার হয়েছে। সোমবার সেখান থেকে আটটি মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এই এলাকায় এখনো তল্লাশি চালানো হচ্ছে।
বার্তা সংস্থা এএফপিকে পেরা আরো বলেন, ‘অনেক জায়গায় মানুষ সবকিছু হারিয়ে উদ্বাস্তুতে পরিণত হয়েছে।’
নিউজিল্যান্ডের বিমানবাহিনী উদ্ধারকাজে ও ত্রাণ সহায়তায় এগিয়ে এসেছে।
ঘূর্ণিঝড়দুর্গতদের জন্য পানি ও আশ্রয়কেন্দ্র এখন খুব জরুরি বলে সরকারিভাবে জানানো হয়েছে। সরকার যানবাহন ও ত্রাণ সহায়তায় এগিয়ে আসার জন্য দেশটির বেসরকারি কোম্পানিগুলোর প্রতি আহ্বান জানিয়েছে।
এক সপ্তাহের জন্য স্কুলগুলো বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। ত্রাণ তৎপরতার জন্য দেশটির প্রধান বিমানবন্দর খোলা রাখা হয়েছে।