সিরীয় উদ্বাস্তুরা তুরস্কে নিরাপত্তাহীন, গ্রিক আদালতের রুল
গ্রিসের আদালতের এক আদেশে বলা হয়েছে, ইউরোপে অভিবাসনপ্রত্যাশী সিরীয়দের তুরস্কে ফেরত পাঠানো যাবে না। কারণ, দেশটি সিরীয় উদ্বাস্তুদের জন্য নিরাপদ নয়।
বিবিসি জানায়, গ্রিসের আদালত নির্দিষ্ট এক সিরীয়র ব্যাপারে আদেশ দিয়েছেন। সব সিরীয় অভিবাসনপ্রত্যাশীর ক্ষেত্রে এটি কার্যকর হবে না। আর আদালতের রায় এমন দিনে এলো যখন আরো ৫১ সিরীয় অভিবাসনপ্রত্যাশীকে তুরস্কে ফেরত পাঠাচ্ছে গ্রিস।
আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যালনালের কর্মীরা দাবি করেছেন, অভিবাসী ফেরত পাঠানো নিয়ে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) ও তুরস্ক চুক্তি আরেকবার প্রশ্নবিদ্ধ হলো। তাঁদের মতে, সিরীয় শরণার্থীদের মৌলিক অধিকার নিশ্চিত করতে পারেনি তুরস্ক। আবার অনেক শরণার্থীকে সিরিয়ায় ফেরত পাঠানোর ঝুঁকি আছে।
অভিবাসন বিষয়ে ইইউ ও তুরস্কের মধ্যকার চুক্তি অনুযায়ী, গ্রিসের লেসবস দ্বীপে পৌঁছানো সিরীয় অভিবাসপ্রত্যাশীদের মধ্যে থেকে অবৈধদের ধাপে ধাপে তুরস্কে ফেরত পাঠানো হবে। ইউরোপে অভিবাসনের আবেদন না করা এবং আবেদন বাতিল হওয়া অভিবাসনপ্রত্যাশীরাই অবৈধ বলে বিবেচিত হবেন। ফেরত পাঠানো সিরীয়দের বাসস্থানের ব্যবস্থা করবে তুরস্ক। এই চুক্তির ফলে তুরস্ককে বিপুল অঙ্কের অর্থ সহায়তা করবে ইইউ। আর এ চুক্তির জন্য তুরস্কের নাগরিকরা ইউরোপে বিনা ভিসায় প্রবেশাধিকারের দাবি জানিয়েছেন।
চলতি বছরের শুরুতে সম্পাদিত ইইউ ও তুরস্কের অভিবাসনবিষয়ক চুক্তি গত মার্চে কার্যকর হয়। এই চুক্তির আওতায় এখন পর্যন্ত ৪০০-এর বেশি অভিবাসন প্রত্যাশীকে গ্রিস থেকে তুরস্কে ফেরত পাঠানো হয়েছে।
চুক্তির শুরু থেকেই এর বিরোধিতা করে আসছে অ্যামনেস্টি। মানবাধিকার সংগঠটির পক্ষ থেকে বলা হয়, এই মুহূর্তে সিরীয় শরণার্থীদের কোনো নিরাপত্তা দিচ্ছে না তুরস্ক। তাই অভিবাসনপ্রত্যাশীদের কেউই ফিরতে চায় না সেখানে।