ভেনেজুয়েলার প্রেসিডেন্ট নিকোলা মাদুরোকে ক্ষমতাচ্যুত করার আন্দোলনের প্রথম ধাপকে অনুমোদন দিয়েছে দেশটির জাতীয় নির্বাচন কাউন্সিল। প্রতিষ্ঠানটি জানায়, মাদুরোবিরোধীরা ভেনেজুয়েলার ২৪টি প্রদেশের সবকটি থেকেই ১ শতাংশ ভোটারের স্বাক্ষর সংগ্রহ করেছে।

বিবিসির খবরে বলা হয়, সময়ের আগেই মাদুরোকে ক্ষমতা থেকে সরানোর প্রথম ধাপ ছিল দেশের ১ শতাংশ মানুষের স্বাক্ষর সংগ্রহ, যা বিরোধীরা সফলভাবে সম্পন্ন করেছে। তবে এরই মধ্যে ভেনেজুয়েলার পার্লামেন্টে বিরোধীদের কার্যক্রম বন্ধের নির্দেশ দিয়েছেন সুপ্রিম কোর্ট।

সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে বলা হয়, তিন বিরোধীর বিরুদ্ধে ভোট কেনার অভিযোগের তদন্ত সম্পন্ন না হওয়া পর্যন্ত তাঁদের কার্যক্রম বন্ধ রাখতে হবে।

ভেনেজুয়েলার নির্বাচন কাউন্সিল জানায়, নিকোলা মাদুরোর বিরুদ্ধে দুই লাখ মানুষের স্বাক্ষর সংগ্রহ করেছে অন্দোলনকারীরা। স্বাক্ষরকারীরা নিকোলা মাদুরোর পদত্যাগ দাবি করে পুনর্নির্বাচনের পিটিশনের প্রতি সমর্থন জানিয়েছে।

নির্বাচন কাউন্সিলের পক্ষ থেকে পরবর্তী ধাপের জন্য কোনো নির্ধারিত দিন ঠিক করা হয়নি। জানা গেছে, বিরোধীদের এখন তিন দিনের মধ্যে ৪০ লাখ মানুষের স্বাক্ষর জোগাড় করতে হবে। তবে এরই মধ্যে ভেনেজুয়েলার ২০ শতাংশ ভোটার (প্রায় ৪০ লাখ মানুষ) মাদুরোর ক্ষমতাচ্যুত করার পিটিশনে স্বাক্ষর করেছে বলে বিরোধীদের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে।

রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক সংকটের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে ভেনেজুয়েলা। এ কারণে দেশটিতে মৌলিক পণ্যের সংকট এবং দাঙ্গা দেখা গেছে। এই সঙ্গে ভেনেজুয়েলায় দেখা দিয়েছে তীব্র মুদ্রাস্ফীতি।

বিরোধীদের দাবি, নিকোলা মাদুরো প্রশাসনের অব্যবস্থাপনার কারণেই দেশজুড়ে অর্থনৈতিক সংকট দেখা দিয়েছে।

২০১৩ সালের এপ্রিলে নিকোলা মাদুরো প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন। ২০১৯ সাল পর্যন্ত তাঁর ক্ষমতায় থাকার কথা।