সপরিবারে হজ পালন খালেদা জিয়ার
বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া ও সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানসহ পরিবারের সদস্যরা সৌদি আরবের মক্কায় ঐতিহাসিক আরাফাতের ময়দানে পবিত্র হজ পালন করেছেন। হজের শেষ আনুষ্ঠানিকতা পালনের জন্য বর্তমানে মিনায় অবস্থান নিয়েছেন।
এর আগে স্থানীয় সময় আজ সোমবার সকাল ৬টায় রাষ্ট্রীয় প্রটোকলে মুজদালিফা থেকে মিনার উদ্দেশে রওনা দেন খালেদা জিয়া।
সৌদি বাদশা সালমান বিন আবদুল আজিজের আমন্ত্রণে বিএনপি চেয়ারপারসনসহ তাঁর পরিবারের সদস্যরা রাজকীয় মেহমান হিসেবে সৌদি আরবে গেছেন।
সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া ও সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমান পরিবারের সদস্যদের নিয়ে আরাফাতের ময়দান থেকে ৮ কিলোমিটার দূরে মুজদালিফায় রাতে নফল ইবাদত-বন্দেগি, দোয়া-দরুদ, জিকির, তাসবিহ-তাহলিল ও কোরআন তিলাওয়াত করেছেন।
আজ সকালে মুজদালিফা থেকে মিনায় ফিরে জোমারাতে বড় শয়তানকে পাথর মেরে, কোরবানি করেন। পরে কাবা শরিফ তাওয়াফে জিয়ারা ও সায়ী করেন।
পরিবারের সদস্যদের মধ্যে হজ পালন করেন তারেক রহমানের স্ত্রী জোবাইদা রহমান, মেয়ে জাইমা রহমান, ছোট ছেলে প্রয়াত আরাফাত রহমানের স্ত্রী শর্মিলা রহমান সিঁথি। খালেদা জিয়ার সঙ্গে আছেন তাঁর উপদেষ্টা এনামুল হক চৌধুরী, দলের তথ্যপ্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক শরীফ শাহ কামাল তাজ, একান্ত সচিব আবদুস সাত্তার, আলোকচিত্রী নুরউদ্দিন আহমেদ ও গৃহকর্মী ফাতেমা।
মিনায় জামারাতে পাথর নিক্ষেপ এবং কোরবানি, বাইতুল্লাহ শরিফ তাওয়াফে জিয়ারা ও সায়ী করার সময় উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও সৌদি আরব বিএনপির সভাপতি আহমদ আলী মুকিব, প্রধান উপদেষ্টা আব্দুর রহমান, মক্কা বিএনপির সভাপতি খন্দকার হেলাল, সাধারণ সম্পাদক নূরুল আফছার চৌধুরী, মক্কা বিএনপি নেতা আবুল কালাম, মাওলানা রফিক আহমেদ, এইচ এম পারভেজ মৃধা, আব্দুল মান্নান মোহাম্মদ আলী, সেলিম রেজা, জহির আহমেদ, মোজাম্মেল হোসেন মিলন, সাহাব উদ্দিন, গাজী কামাল ও জাহিদ বাবু।
খালেদা জিয়ার এটি তৃতীয় হজ। ১৯৯১ সালে প্রধানমন্ত্রী থাকাকালে একবার এবং ১৯৯৭ সালে বিরোধী দলে থাকার সময় তিনি হজ করেন। তবে প্রায় প্রতি বছরই রমজানে তিনি ওমরাহ পালন করছেন। আট বছর ধরে যুক্তরাজ্যে থাকা ছেলে তারেক রহমানকে নিয়ে ২০১৪ সালের জুলাই মাসে ওমরাহ পালন করেছিলেন তিনি।