বইমেলায় সালেক খোকনের তিন বই
লেখক ও গবেষক সালেক খোকন দীর্ঘদিন ধরে কাজ করছেন মুক্তিযুদ্ধ ও আদিবাসী বিষয় নিয়ে। তাঁর রচিত যুদ্ধদিনের গদ্য ও প্রামাণ্য গ্রন্থটি ২০১৫ সালে মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক মৌলিক গবেষণাগ্রন্থ হিসেবে তরুণ কবি ও লেখক ‘কালি ও কলম’ পুরস্কারও লাভ করেন। এ বছর মুক্তিযুদ্ধ ও আদিবাসীবিষয়ক তাঁর দুটি নতুন গবেষণাগ্রন্থ প্রকাশিত হয়েছে। বিভিন্ন সময়ে শোষণ ও অত্যাচারী জমিদার, জোতদার, মহাজন ও মুনাফালোভী ইংরেজ শাসকদের বিরুদ্ধে আদিবাসীদের লড়াই-সংগ্রামের ইতিহাসসহ মুক্তিযুদ্ধে আদিবাসীদের অবদানের কথা তুলে ধরা হয়েছে তাঁর রচিত বিদ্রোহ-সংগ্রামে আদিবাসী গ্রন্থে। গ্রন্থটির লেখাগুলো নিয়মিতভাবে প্রকাশ করেছে এনটিভি অনলাইন।
আজকের সবকিছুই আগামীর ইতিহাসের অংশ হবে তা নয়, কিন্তু বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস অনাদিকাল পর্যন্ত আমাদের আলোড়িত করবে। যাঁদের রক্ত আর ত্যাগে আমাদের মানচিত্র রচিত হয়েছিল, তেমনি কয়েকজন অনালোচিত মুক্তিযোদ্ধার বীরত্বগাঁথা দালিলিক প্রমাণসহ তুলে ধরেছেন সালেক খোকন তাঁর মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক নতুন আকরগ্রন্থ ‘১৯৭১: যাঁদের ত্যাগে এলো স্বাধীনতা’ বইতে।
আদিবাসী ও মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক দুটি গ্রন্থই প্রকাশ করেছে কথাপ্রকাশ (বইমেলায় প্যাভিলিয়ন ১৫)। প্রচ্ছদ এঁকেছেন সব্যসাচী হাজরা।
এ ছাড়া এ বছর পাঞ্জেরী পাবলিকেশন্স লি. তাঁর ‘রক্তে রাঙা একাত্তর’ গ্রন্থটি সম্পূর্ণ নতুনভাবে প্রকাশ করেছে। এ গ্রন্থ মূলত সালেক খোকনের একাত্তরের গণহত্যার সরেজমিন অনুসন্ধানী অভিযাত্রার লিখিত রূপ। পাশাপাশি তিনি যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধাদের ভাষ্য থেকে নিংড়ে বের করে এনেছেন দেশের প্রতি তাঁদের আত্মত্যাগ, ভালোবাসা, কষ্টের অনুভূতি ও পরবর্তী প্রজম্মের প্রতি আকাঙ্ক্ষা আর স্বপ্নগুলোকে। বইটির প্রচ্ছদ এঁকেছেন ধ্রুব এষ। বইমেলায় এ গ্রন্থটি পাওয়া যাবে পাঞ্জেরী পাবলিকেশন্সের প্যাভিলিয়নে (প্যভিলিয়ন ১৭)।