সাক্ষী কেবল চৈত্র মাসের দিন
‘আধা-রাইতে আচমকা ঢেণ্ডেরার আওয়াজ শোনা যায়!’
জুলেখার বাপে দেখে, আন্ধার উঠানে খাড়া মসজিদের ইমাম হুজুরে। সারা বিকাল গেরামে আর পুষ্কুনিতে পুষ্কুনিতে খোঁজ-তাল্লাশের কালে ইমাম হুজুরে সকলের সঙ্গেই খাড়া আছিলো। সকল কিছুর তদারকিতে সকলের আগে আছিলো সেয়ই। তয়; নিত্যিকার আজান দেওয়া, নামাজ পড়ানির জন্য এই গেরামে সেয় একলা একজোন; সেই কারণে সন্ধ্যার মুখে তারে ফিরা যাইতে হয় মসজিদে। একলা হাতে সকল কাজকর্ম শেষ করে আবার সেয় আসছে জুলেখার খোঁজ নিতে।
জমিদার-ঠাকুরের আমলে দেওভোগ গেরামে না একখান মসজিদের নামগন্ধও আছিলো, না টেমটেমা, কাম-চালানি কোনো দেবস্থল কী মন্দির আছিলো! কিছুই আছিলো না। এত্তটুক এই গেরাম। তাতে কয়ঘর খালি মুসলমান; আর বেশিরভাগ ঘরই হিন্দু। সেইখানে মসজিদ দেয়ই কে কোনখানে! আর ইমাম রাখার টেকাই বা তারা জোগাড় করে কেমনে! যে কয়ঘর হিন্দু, তারা নিত্যির পুজা ঘরেই সারে, বড়ো পুজার জন্য ঠাকুর-বাড়ি আছে; অঞ্জলি দেওন, পর্তিমা দর্শন, পেন্নাম- সবই সেইখানেই শেষ করে আসে তারা, বড়ো পুজার কয়দিন।
দেওভোগ গেরামের উত্তর-পুব কোণা বরাবর, চার ক্রোশ দূরে, আছে আখড়া নামের গাওখান। সেইখানের কালী মন্দিরে আষাঢ়-মাইস্যা আমাবইশ্যায় ধন্না দিয়া পড়ার জন্যও লোকে গেছে তখন। সকলে জানে, বড়োই জাগ্রত সেই স্থান। সঠিক নিয়মে, অন্তর সাফ-সাফা করে যে ধন্না দিছে, সেয়ই সুফল পাইছে।
সেই সব দিনে, ঈদে-চান্দে লোকে নামাজ ধরতে গেছে ভোলাইল গেরামে। উত্তরের এই গেরামখানাই দেওভোগ গেরামের কাছে-ধারের গেরাম। শুকনার দিনে ঈদ পড়লে লোকে খুশি হইতো তখন। শুকনার সময়, বিয়ান বিয়ান মেলা দিয়া এক প্রহর বেলার মধ্যেই ভোলাইল গিয়া ওঠোন- কোনো ব্যাপারই না তাগো কাছে। ঈদের জামাত ধরতে কোনোই বিঘ্ন পাইতো না কেউ। তয়, ঝামেলা লাগতো বাইরা মাইস্যা দিনে।
বুক-সমান বাইন্যা পানিতে তল্লাট ডুবুডুবু তখন ঠিকই, কিন্তু সেই বানের পানি আগাগোড়া কচুরিপানায় ঢাকা। ঘরে ঘরে আছে কোষা নাও। তাতে আর কয়জন চড়োন যায়! একজোনে যুদি লগ্গি ঠেলে তো, আরেকজনরে নাওয়ের অন্য আগায় বসা দিতে হয় - নাও আগানির রাস্তা সাফ করার কর্মে। সে উপুড় হয়ে নাওয়ের সামোনের কচুরিপানা দুই হাতে সরাতে থাকে সর্বক্ষণ; তবেই নাও আগানি দেওয়ার রাস্তা পায়। এমনে এমনে, দুনিয়ার হ্যাপা সামলানি দিতে দিতে, তখন কোনোরকমে গিয়া ঈদের জামাতরে ধরতো লোকে।
এইভাবে বহুত বহুত দিন যায়। লোকে বাপ-দাদার নিয়মেই ঈদ-তেহার, পুজা-পার্বণ চালাইতে চালাইতে তাদের জিন্দিগিও পার করে দেয়। তাগো পোলাপানেরাও ক্রমে আবার বাপ-দাদার জায়গা নেয়। তাগো সংসারেও সুখ আসে, সুখ যায়। গোস্বা আসে, গোস্বা যায়। কোরোধ আসে, কান্দন আসে, তারাও যায়। এরা সকলেই একলা আসে একলা যায়। আবার, নিয়ম মতোন ওলাবিবি আসার দিনে, ওলাবিবি আসে; সেও যায়। তয় সেয় একলা যায় না কোনোদিনই। গেরামের কোনো না কোনো ভিটির কয়জোনরে একত্রে নিয়া, তবে যায়।
ওলাবিবি আসলে তার বইন শীতলা বিবি য্যান আসার জন্য পাগল হইয়া পড়ে। ধুমাধুম সেও আইসা খাড়া। একবাড়িতে যদি ওলাবিবির আসন পড়ে, তয় দেখা যায় আরেকবাড়িতে আসন নিছে, তার বইনে, শীতলাবিবিয়ে। তাগো দয়ায় দয়ায়ই তো দেওভোগ গেরামের কতো ভিটির লোক ঝাড়ে-বংশে নাই হইয়া গেলো কালে-ক্রমে। শূন্য সেই ভিটির একটাতেই একদিন লোকে কোনোরকমে একখান চালা তোলে, একটা বিশেষ কারণে।
কী সেই কারণ? কারণটা একদিকে তেমন গুরুতর কিছু না, আবার একেবারে ফালাইন্না কিছুও না। একদিন মুরুব্বি বাপ-দাদাগো খেয়ালে আসে যে, নিজেগো গেরামে যুদি কোনো রকমে একখান মজিদ বসানো যায়, তাইলে নিজেগো কিছু একটা হয়। তয়, এত বড়ো একখান সুকর্ম যে করে তারা, টেকা-পয়সার সেই খ্যামতা তাগো কই!
মনের বাসনা মনে নিয়াই দিন পার করে তারা, কিন্তু তারে সম্ভব করে করে তোলার কোনো উপায় দেখে না কোনোজোনে। এমন কালে একদিন, গেরামের মংলার মায়েগো ভাঙ্গাচুরা ঘরে আইস্যা হাজির হয় তার কোনকাইল্যা এক ইষ্টি। সেয় মংলার মায়ের নানা। তবে সেয় আপনা নানা না, আবার একেবারে মোখ-বোলা দূরের কেউও না। রক্তেরই ইষ্টি, তয় লতার লতা আত্মীয়, বহুত দূরের একজোন।
আঁতকা ক্যান আইলো সেয়! না আইয়া কী করবো! এক রাইতের মধ্যে ওলাবিবি নিলো তার পুত, নাতিপুতি, পোলার বউ। নাতিপুতিগুলির দাদি আগেই গেছিল না। সেই কারণে তার আর এই দফায় পুত কী পুতের বউ কী নাতি-নাতকুঁড়ের লগে যাওনের কপাল হইল না। সকলেরে দাফন দিয়া মংলার মায়ের বুড়া নানায় নিজে যাওয়ার জন্য মন স্থির করে।
থির বসা দিয়া সেয়, বার চাইতে থাকে ওলাবিবির দয়ার। একদিন যায়, দুই দিন যায়, ওলাবিবির য্যান তার দিকে চাওনের ফুরসতটাই হয় না। সকলরে নিয়া তারে বাদ দেওনের মতলব নাকি সেই মাতারির! এমুন মতলব সত্য হওনের কোনো রাস্তা খোলা রাখব না এই পোড়া আংড়া বাপে! সোনার টুকরা পোলাপাইনটি গেছে গা দমাদ্দম, আর পইড়া থাকব এই বুইড়ায়! যার যাওনের কথা আগে, সেয় পইড়া থাকব পিছে!
সেয় গিয়া নিজেরে চুবানি দিতে থাকে পুষ্কুনিতে, আউল্লা ঝাউল্লা বেদম চুবানি। যেমনে হউক, এই দম যাওনের ব্যবস্থা তারে করোন লাগবোই। কেমনে কেমনে কে তারে একসময় সেই পুষ্কুনির তেনে তোলে, সেয় কইতে পারে না। কখন তার শইল-ভইরা বেধুম জ্বর ওঠে, সেয় জানে না। জ্বরের লগে লগে খিঁচুনি আসছিল, না আসে নাই; সেই বিষয় তার স্মরণে নাই। কেমনে কেমনে কার কখন মনে হয় যে, এই আধা-মরারে তার অই দূরের-দূর নাতিনের কাছে নিয়া পৌঁছানি দিতে হইবো, সেও তার অজানা।
এমনে এমনেই তার আসা দেওভোগ গেরামে। এমনে এমনেই তার বসত শুরু এইখানে। ভালা হইয়া বার কয়েক সে আল্লার রাহে দেওয়ানা হইতে পাও বাড়াইছিল। মংলার মায়ে মাথার কিরা দিয়া ধরে রাখছে। এমুন বুড়া, খুরখুরা মানুষটা কই যাইব, কী খাইব, কই পইড়া মরব একলা একলা! মংলার মায়েরও বা আছেটা কে! মাইয়া বইল্লা তার কাছে থাকলে মংলার মায়ের কইলজা তো শান্তি পাইব!
থাকে সেয় মংলার মায়ের কাছে, থাকে বাপের আসন নিয়া। তয়, আজাইরা বেহুদা বইয়া থাকার মানুষ নি সেয়! না তো! সকলেরে সেয় একদিন কয়, কোনো রকমে একখান চালা যুদি এট্টু তোলন যায়, সেয় মসজিদের কাম চালানি দিয়া নিতে পারব। গেরামে কত কত ভিটি বিরান পড়া! তার কোনো একটাতে একটা চালা তোলন নি যায়!
এইমতে, ক্রমে, দেওভোগ গেরাম তার কোনো রকম মসজিদরে পায়। পায় এই ইমাম হুজুররে। তারে খায়-খরচ কিছুই দেওন লাগে না। খালি তার খাওনের বন্দোবস্তখান সুন্দরমতো করোন লাগছে সকলরে। তার খাওন আসে একেক বাড়ি থেকে। ১৫ দিন এই বাড়ি, ১৫ দিন অন্য বাড়ি। এমনেই চলতাছে বহুদিন।
সেই মজিদে সর্বকর্ম সাধনের এই একলা একজোন। ইমাম হুজুরে। আজান দেওয়া, নামাজ পড়ানি যেমন; তেমন ভালামন্দে আল্লা-রসুলের নাম নেওয়া, খতম দেওয়া, মিলাদ পড়া, পোলাপানদের সিফারা শিক্ষা-দেওয়া, তাবিজ-কবজ-পানিপড়া ও অন্য সকল কর্ম করার জন্যও খালি সেয়ই একলা একজোন। এই সবের সঙ্গে, কেমনে কেমনে জানি সেয় হয়ে দাঁড়ায় সকলের ভালা-বুরার দিকে নজর রাখোনের আপনাজন!
সন্ধ্যাসন্ধি মসজিদের কাজ সারতে সারতে ইমাম হুজুরের অন্তরে পুরা বিশ্বাস আসে যে, এই এতোক্ষণে জুলেখায় বাড়িতে ফিইরা আসছেই। মাথা-আউলা মাইয়াটার ওপর দিয়া বাপে-মায়ে না আবার গালি-গালাইজের তুফান চালাইতাছে– এই চিন্তাটাও তার মনে লড়তে থাকে খোনে খোনে। এমুন শিয়ানা বয়সের পোলাপানদের বকলে হয় উল্টা ফল! অগো বুজাইয়া যতটুক পারা যায়! এই কথা জুলির বাবা-মায়েরে কওয়ার জন্যই এত রাইতে তার আসা, জুলেখাগো বাড়িতে।
ইমাম হুজুরে আইসা দেখে; হায় হায় কী সর্বনাশের কথা! জুলেখার কোনো সন্ধান নাই! গেরামের দশজোনে গেছে গা তাগো নিজ নিজ কর্মে। মাইয়া-খোয়ানির টাটানি নিয়া আন্ধার বাড়িতে পইড়া রইছে একলা বাপে-মায়ে।
এতবড়ো একখান সর্বনাশের বিষয়রে এমুন হালকা-পাতলা কইরা নিলে তো তাইলে গজবের সীমা থাকব না! হুজুরের ডাকে আবার পুরা গেরামের মানুষ পড়িমরি আইসা হাজির হয় জুলেখাগো বাড়ির উঠানে। দিনে-দুপুরে ডাকাতি হওয়ার মতন এতবড়ো সর্বনাশ হইয়া গেছে সংসারে; গেরামের এক লয়-লক্ষ্মী মাইয়ায় নাই হইয়া গেছে–এমুন আচানক রকমে; তার বিহিত না কইরা লোকে ঘুমাইবো কোন পরানে!
তিনজন তিনজন করে গেরামের নানা ঘরের পুরুষপোলা শেষে সেই এক প্রহর রাতেই জুলেখার তল্লাশ করতে ছোটে নানান দিকে। দেওভোগ গেরামের সকল দিকে, এক দেড় ক্রোশের মধ্যে আর গেরাম কই! কাছেধারে দুই ক্রোশের মধ্যে উত্তরে আছে ভোলাইল। দক্ষিণে সেই দুই ক্রোশ তফাতে বাবুরাইল গেরাম, পুবে আরো বেশি তফাতে আছে যে গেরাম, তার নাম ছোনখোলা। পশ্চিমে আজদাহা ঠাকুরবাড়িখানের পরে ক্রোশকে ক্রোশ ক্ষেতিখোলা। দশ ক্রোশের মধ্যে কোনো গেরামের চিহ্ণ নাই সেইদিকে।
স্থির হয়, এই রাইতে সেই দিকে যাওয়ার কোনো দরকারই নাই। সেইদিকে যদি সন্ধান করতে যাওয়া লাগেই, তবে সেইটা করোন যাইবো কাউলকা দিনে। অখন, বাকি তিনদিগে সন্ধান করতে যাউক তিনজোন তিনজোন করে পুরুষপোলা।
‘আমিনি তোমাগো কেউর লগে আমু?’ হুজুরে জিগায়। ‘আপনে গেরামে থাকেন, হুজুর! ঠেকা-বেঠেকা কত কী হইতে পারে। আপনে থাকলে চিন্তা থাকে না’ সকলে হুজুররে থামায়। আর জুলেখার বাপেরে তো লগে নেওনের কথাই চলে না। তার দেহ রথ অচল, অবশ। মরারে আর কী করতে মারবো গেরামের লোকে!
সকলেই বোঝে যে, খালি হাতে- কী খালি গলায় এই সন্ধানের কর্মখানা জুত করে করা যাবে না। আর রাত আন্ধার ঘুরঘুট্টি, একেক গেরামের রাস্তাও কম দূর না! একখান হারিকেন দিয়া সারা মুল্লুক ঘুরান দিয়া আসোনও যাইবো না। নিইভ্যা যাইব। উফায় কী! স্থির হয় যে, একেক দলের কাছে থাকব দুইটা করে হারিকেন বাত্তি; একটা একটু উসকানো, অন্যটা একেবারে নিভু নিভু।
আসা যাওয়ার পথ বলতে খেতি-খোলার ভিতরের আইল। মাথার উপরে এই চৈত মাইস্যা রাইতে, তারাভরা খলখলা আসমান। পুন্নি না থাকলে কী, তারার আলোও কম না! আন্ধাররে চোখ-সওয়া, হালকা ফিকা কইরা থুইছে তারারা। এই আলোয় সুন্দর আইল দিয়া যাওন যাইব গা। চিনা পথে আবার বাত্তি লাগেনি!
কাজেই সকলে ঠিক করে যে, খেতি-খোলা দিয়া যাইব যখন একেক দল, তারা তখন উসকানো বাত্তিখানরেও এক্কেবারে নিভু নিভন্ত কইরা থুইব। কিন্তু অন্য গেরামে পাও দেওয়া মাত্র একখান হারিকেন-বাত্তি উসকানি দিয়া নিবোই নিবো! নাইলে এমুন অচিন মানুষগো এমুন নিশি-রাইতে কেউ ভালা নজরে নিব না। মোনে করব ডাকাইত আইছে!
আরো কথা আছে। যে যেই গেরামে যাইতাছে, সেয় সেই গেরামে ঢোকোনের আগেই গলা তুলে ডাক ছাড়তে ছাড়তে ঢুকব। তাইলেই সেই গেরামের লোকে আগেই বুজব এই মানুষরা কারা! ক্যান এমুন রাইতে ভিন গাওয়ে আসন লাগছে তাগো! শুধু তো খালি গলার আওয়াজে চলব না। ঢেণ্ডেরাও দিতে হইব। সেই কারণে সকল দলের সঙ্গেই একখান দুইখান কইরা টিনের ডিব্বা থাকন লাগব। আর লোকের হাতে থাকন লাগব ছোটো লাঠি। লাঠি দিয়া ডিব্বায় বাড়ি দিব, আর উঁচাগলায় খোনে খোনে কইব জুলেখার কথা। বুঝব্যবস্থা মতো একেক দল মেলা দেয় একেক গেরামের পোথে।
রাইত এক প্রহর কোনসোম গেছে গা! সারা দিন খাউখাউ গরমরে কোনো মতে সহ্য কইরা নানান গেরামের মানুষ নানান মতে উঠানে পাটি-পাতা দিয়া শোওয়া। গিরস্ত-বাড়ি একেবারে আন্ধার রাখতে নাই বলে, লোকেরা কোনোমতে টেমটেমানি এট্টুক ইট্টু বাত্তি জ্বালাইয়া রাখছে কোনো একটা ঘরের কোণায়। নাইলে সকল বাড়ি নিজ্জস আন্ধার।
তাগো কেউ কেউ পুরা ঘুম, কারো কারো চোখ খালি এই আধামাধা বুজে আসছে; এমন সময় নানান গেরামের সকল জনে শোনে তাগো গেরামে কারা জানি ঢেণ্ডেরা দিতাছে! এমুন তাজ্জবের বিত্তান্ত কেউই হইতে দেখে নাই! কেউ কোনোদিন নিজকানে এমুন ঢেণ্ডেরা পড়তে শোনেও নাই! কী আচানক কথা! এমুন মাঝ-রাইতে ঢেণ্ডেরা দিতে আসছে কারা এটি! কী কয় লোকসকলে?
কয় যে, ‘ভাইসব! ভাইসব! মা বইনেরা গো! হগলতে হোনেন! আউজকা দুপুরের সোমে দেওভোগ গেরামের একটা মাইয়া হারানি গেছে। মাইয়ার নাম জুলেখা বিবি। দয়ালদার আপনেরা কোনোজোনে যুদি হের সন্ধান জাইন্না থাকেন, আল্লার ওয়াস্তে আমাগো গেরামে খোঁজ দিবেন! ভাইসব! ভাইসব!’
চৈত্র মাসের রাতের বাতাস সকল গেরামের এই মুড়া থেকে আরেক মুড়ায় উড়ায়ে নিতে থাকে ঢেণ্ডেরার লোকেদের গলার স্বর, আউলা পায়ের আওয়াজ, আর টিনের ডিব্বা পিটানোর ডক ডক শব্দ। দূর থেকে দূরে সেই আওয়াজ উড়ে যেতে থাকে, এমনকী অতি ক্ষীণ হয়ে সেই আওয়াজ গিয়ে দেওভোগ গেরামরেও ঝাপটা মারে। কিন্তু জুলেখার কোনো খবর পাওয়া যায় না।
(চলবে)
সাক্ষী কেবল চৈত্র মাসের দিন (কিস্তি ১১)
সাক্ষী কেবল চৈত্র মাসের দিন (কিস্তি ১০)
সাক্ষী কেবল চৈত্র মাসের দিন (কিস্তি ৯)
সাক্ষী কেবল চৈত্র মাসের দিন (কিস্তি ৮)
সাক্ষী কেবল চৈত্র মাসের দিন (সপ্তম কিস্তি)
সাক্ষী কেবল চৈত্র মাসের দিন (ষষ্ঠ কিস্তি)
সাক্ষী কেবল চৈত্র মাসের দিন (পঞ্চম কিস্তি)
সাক্ষী কেবল চৈত্র মাসের দিন (চতুর্থ কিস্তি)
সাক্ষী কেবল চৈত্র মাসের দিন (তৃতীয় কিস্তি)
সাক্ষী কেবল চৈত্র মাসের দিন (দ্বিতীয় কিস্তি)
সাক্ষী কেবল চৈত্র মাসের দিন (প্রথম কিস্তি)