সেনাবাহিনী বিশ্বেও ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করছে : রাষ্ট্রপতি

রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ বলেছেন, সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যরা শুধু দেশের ভেতরেই নয়, বিশ্ব পরিমণ্ডলেও কর্মদক্ষতার পরিচয় দিয়ে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করে তুলছেন।
আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে রাজশাহী সেনানিবাসে বাংলাদেশ ইনফ্যান্ট্রি রেজিমেন্টাল সেন্টারের (বিআইআরসি) দ্বিতীয় বীর পুনর্মিলনী উপলক্ষে আয়োজিত কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠানে রাষ্ট্রপতি এ কথা বলেন। তিনি আরো বলেন, দেশ ও জাতির প্রয়োজনে ভবিষ্যতেও সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যরা জনকল্যাণমূলক কাজে অবদান রাখবেন।
রাষ্ট্রপতি বলেন, “২০০১ সালে বাংলাদেশ ইনফ্যান্ট্রি রেজিমেন্ট ‘রেজিমেন্ট অব দ্য মিলেনিয়াম’ হিসেবে যাত্রা শুরু করে। সেনাবাহিনীর নবীন এই রেজিমেন্ট স্বল্প সময়ের মধ্যেই সাধারণ মানুষের কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কাজ করে সেবার উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে। বাংলাদেশ সেনাবাহিনী জাতীয় দুর্যোগ মোকাবিলা, অবকাঠামো উন্নয়ন, জাতীয় পরিচয়পত্র ও ভোটার তালিকা প্রণয়ন, গৃহহীনদের আশ্রয়ণ প্রকল্পসহ বিভিন্ন উন্নয়ন ও সেবামূলক কর্মকাণ্ডে অবদান রাখছে। এ ছাড়া বাংলাদেশের মেগা প্রকল্প ‘পদ্মা সেতু’ বাস্তবায়নে সেনাবাহিনী অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে যাচ্ছে।”
রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ সেনাসদস্যদের উদ্দেশে বলেন, ‘একজন ভালো সৈনিক, আমৃত্যু সৈনিক। সৈনিক জীবনে শৃঙ্খলাবোধ আর আনুগত্যের বিকল্প নেই। মনে রাখতে হবে সেনাবাহিনী একটি প্রতিষ্ঠান। সেখানে আনুগত্য ও পেশাদারিত্ব মূল্যবান সম্পদ।’
রাষ্ট্রপতি বলেন, ‘আধুনিক, যুগোপযোগী ও শক্তিশালী সেনাবাহিনী গঠন বর্তমান সরকারের একটি অগ্রাধিকার বিষয়। বর্তমান সরকারের ‘রূপকল্প ২০২১’-এর আলোকে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ফোর্সেস গোল ২০৩০ প্রস্তুত করা হয়েছে। ফোর্সেস গোল অনুযায়ী সেনাবাহিনীর সাংগঠনিক কাঠামো বিন্যাস ও পরিবর্তনের পাশাপাশি আধুনিকায়ন প্রক্রিয়াও ইতোমধ্যে শুরু হয়েছে।’
রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ আরো বলেন, ‘রিক্রুট ও প্রশিক্ষণকে আরো আধুনিকায়ন এবং যুগোপযোগী করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। সামরিক প্রশিক্ষণের পাশাপাশি সেনাসদস্যদের উচ্চশিক্ষারও বিভিন্ন পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। এখন সেনাবাহিনীর সব সদস্য ন্যূনতম উচ্চ মাধ্যমিক স্তরের শিক্ষা অর্জন করছে। একই সঙ্গে সেনাবাহিনীতে তথ্যপ্রযুক্তির ব্যবহার চোখে পড়ার মতো।’
একদিনের সরকারি সফরে রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ বিমানবাহিনীর একটি বিশেষ হেলিকপ্টারে করে দুপুর সোয়া ১২টায় রাজশাহী সেনানিবাসে আসেন। হেলিপ্যাডে অবতরণের পর সেনাপ্রধান আবু বেলাল মোহাম্মদ শফিউল হক ও রাজশাহী সেনানিবাসের শীর্ষ কর্মকর্তারা রাষ্ট্রপতিকে ফুল দিয়ে অভিনন্দন জানান। পরে তাঁকে লালগালিচা সংবর্ধনা দেওয়া হয়। এরপর রাষ্ট্রপতি রাজশাহী সেনানিবাস শহীদ কর্নেল আনিস প্যারেড গ্রাউন্ডে সেনাবাহিনীর একটি চৌকস দলের অভিবাদন ও সালাম গ্রহণ করেন। বিকেলে তিনি ঢাকার উদ্দেশে রাজশাহী সেনানিবাস ত্যাগ করেন।