রোহিঙ্গাদের হাতে অস্ত্র তুলে দেওয়ার দাবি
মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে সেনাবাহিনী ও তার দোসরদের গণহত্যা ও নির্যাতনের মুখে পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গাদের হাতে অস্ত্র তুলে দেওয়ার দাবি জানিয়েছে হেফাজতে ইসলাম।
গতকাল শুক্রবার চট্টগ্রাম নগরীতে এক বিক্ষোভ সমাবেশে এ দাবি করেন হেফাজতে ইসলামের মুখপাত্র আজিজুল হক ইসলামাবাদী।
সংবাদমাধ্যম ডেইলি মেইলের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, মিয়ানমারে রোহিঙ্গাদের হত্যা ও নির্যাতনের প্রতিবাদ জানাতে চট্টগ্রামে প্রায় ১৫ হাজার হেফাজত সমর্থক বিক্ষোভ সমাবেশ করেন। এ সময় আজিজুল হক ইসলামাবাদী বলেন, রোহিঙ্গা গণহত্যা বন্ধ করতে হবে। হেফাজতের পক্ষ থেকে সরকারকে রোহিঙ্গাদের অস্ত্র ও সামরিক প্রশিক্ষণ দেওয়ার জন্য বলা হয়েছে, যেন তারা নিজ ভূমিকে স্বাধীন করতে পারে।
গত কয়েক সপ্তাহে হেফাজত ছাড়াও কয়েকটি ইসলামি দল ও সংস্থা রোহিঙ্গাদের ওপর দমন-পীড়নের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ সমাবেশ করে। সেখানে মিয়ানমারের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করতে সরকারকে আহ্বান জানানো হয়।
চলতি বছর ২৫ আগস্টের পর থেকে মিয়ানমার থেকে পালিয়ে এসেছে পাঁচ লাখের বেশি রোহিঙ্গা। এর আগে বিভিন্ন সময়ে বাংলাদেশে আসে আরো চার লাখ রোহিঙ্গা। এসব রোহিঙ্গারা কক্সবাজারের উখিয়া ও টেকনাফ উপজেলায় মানবেতর জীবনযাপন করছে।
পালিয়ে আসা রোহিঙ্গাদের বেশিরভাগই নারী ও শিশু। তারা জানান, রাখাইনে তাদের গ্রামগুলো পুড়িয়ে দিচ্ছে মিয়ানমার সেনাবাহিনী ও কট্টরপন্থী বৌদ্ধদের কয়েকটি দল। হত্যা করা হচ্ছে রোহিঙ্গা পুরুষদের। রোহিঙ্গা নারীরা শিকার হচ্ছেন গণধর্ষণের। সেনাবাহিনীর নির্যাতনের হাত থেকে বাদ পড়ছে না শিশুরাও। জাতিসংঘের পক্ষ থেকে এই হত্যাযজ্ঞ ও নির্যাতনকে ‘জাতিগত নিধন’ বলে অভিহিত করা হয়।